তারকা হওয়া কি আর কম ঝক্কির! চব্বিশ ঘণ্টা পাপারাজ্জিদের লেন্সের তাক, সোশাল মিডিয়ার গতিবিধি সব নজরে থাকে। সবসময়েই যেন আতঙ্কে থাকছে তারকাদের জীবন! অতঃপর পান থেকে চুন খসলেই অযথা চর্চা। এবার তেমনই কাণ্ড ঘটিয়ে চর্চার শিরোনামে জাহ্নবী কাপুর।
সম্প্রতি সোশাল মিডিয়ায় জীবনদর্শনমূলক এক পোস্টে লাইক করেছিলেন অভিনেত্রী। তবে নেটিজেনদের ভ্রুযুগল আন্দোলিত হয়েছে পোস্টের বিষয়বস্তু দেখে। সেখানে লেখা- ‘যত বড় হবেন, তত বুঝবেন আপনার পরিবারের একাংশ মানসিকভাবে অসুস্থ।’ আর ক্যাপশনে লেখা- ‘আপনাকে কি কোনওদিন টক্সিক কিংবা মানসিকভাবে অসুস্থ পরিবারের কোনও সদস্যের সঙ্গে বোঝাপড়া করতে হয়েছে? আসলে পারফেক্ট পরিবার বলে কিছুই হয় না। কেন জানেন? কারণ একই পরিবারে একেকজনের ব্যক্তিত্ব একেকরকম।…’ জনৈক নেটিজেন আবার সেটা শেয়ার করে লিখেছেন, ‘এই জন্যই বর্তমান অনেক মানুষ পরিবারের সঙ্গে একাত্ম বোধ করতে পারে না। আসলে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিবারের মানুষগুলোর মানসিক অসুস্থতাও বোঝা যায়।’ এহেন পোস্টে জ্বলজ্বল করছে জাহ্নবী কাপুরের ‘লাইক’।

অভিনেত্রীর লাইক করার স্ক্রিনশট আপাতত নেটপাড়ায় দাবানল গতিতে ভাইরাল। সর্বত্র কৌতূহল, কাকে ইঙ্গিত করলেন শ্রীদেবীকন্যা? কারও বা প্রশ্ন, তাহলে কি আবারও পারিবারিক কোন্দলে জর্জরিত বনি কাপুর? এহেন নানা কৌতূহলের ভিড় নেটভুবনে। উল্লেখ্য, শ্রীদেবীর মৃত্যুর পরই বনির প্রথম পক্ষের দুই সন্তান অর্জুন কাপুর এবং অনসূলা কাপুরের সুসম্পর্ক তৈরি হয় জাহ্নবী এবং খুশির।
অর্জুনও একাধিকবার একাধিক সাক্ষাৎকারে বলেছেন যে, শৈশব থেকেই তিনি মানসিক অবসাদে ভুগেছেন বাবা বনি কাপুরের দ্বিতীয় বিয়ের জন্য। বলিপাড়ার অন্দরমহলে কান পাতলেই শোনা যায়, অর্জুনের মা মোনা কাপুরই শ্রীদেবীকে নিজের বাড়িতে থাকতে দিয়েছিলেন। মিঠুনের সঙ্গে তখন শ্রীদেবীর প্রেমের জল্পনা তুঙ্গে। এদিকে দুই সন্তান-স্ত্রীকে নিয়ে ভরা সংসার বনির। তবে লাস্যময়ীর প্রেমের হাতছানি এড়াতে পারেননি প্রযোজক। যার জেরে সংসার ভাঙে। পরবর্তীতে শ্রীদেবীকে বিয়ে করেন বনি এবং তাঁদের দুই মেয়ে জাহ্নবী এবং খুশি। শৈশবে মা-বাবার দাম্পত্য অশান্তি ছাপ ফেলেছিল অর্জুনের মনেও। একটা দীর্ঘ সময়ে অবসাদে ভুগেছিলেন অভিনেতা। তবে শ্রীদেবীর মৃত্যুর পরই দুই পক্ষের সন্তানরা কাছাকাছি এসে ‘বিগ ফ্যাট হ্যাপি ফ্যামিলি’ হিসেবে ধরা দেন। এবার জীবনদর্শনমূলক ওই পোস্টে লাইক করে কি পরিবারের অতীত কেচ্ছার দিকেই ইঙ্গিত করলেন জাহ্নবী কাপুর?
এমকে/টিএ