মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) এক যৌথ বিবৃতিতে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইউসুফ আহমাদ মানসুর ও সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মাহবুবুর রহমান নাহিয়ান এ তথ্য জানান।
বিবৃতিতে তারা বলেন, ২০২৪ সালের জুলাইয়ে কোটা সংস্কারের শান্তিপূর্ণ ও যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর তৎকালীন আওয়ামী সন্ত্রাসী ও পুলিশ বাহিনী বর্বর হামলা চালায়। গুলি বর্ষণের মাধ্যমে নিরীহ শিক্ষার্থীদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এই নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ১৮ জুলাই ২০২৪ ঢাকাসহ সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করে। ১৮ জুলাইকে প্রতিবছর ‘জুলাই জাগরণ ও স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে পালন করবে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ।
এতে বলা হয়, ১৮ জুলাই ২০২৪ বিকেলে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে বায়তুল মোকাররম উত্তর গেটে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করিম পীর সাহেব চরমোনাই ঐতিহাসিক প্রতিবাদী বক্তব্য দেন।
‘পীর সাহেব চরমোনাই বক্তব্যে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে গণপ্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য বজ্রকণ্ঠে আহ্বান জানান। তিনি রংপুরে আবু সাঈদকে হত্যার তীব্র প্রতিবাদ জানান, নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের পৈশাচিক কায়দায় হত্যার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অভিভাবকদের রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানান। পীর সাহেব চরমোনাই রাষ্ট্রের প্রশাসনকে তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন করে স্বৈরাচারের সহযোগী না হয়ে রাষ্ট্রের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভূমিকা পালন করতে জোরালোভাবে আহ্বান জানান।
পীর সাহেব চরমোনাইয়ের বক্তব্য ও জোরালো আহ্বান সারা দেশে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে সৃষ্টি করে নবজাগরণ। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে রাজপথে তাদের অভিভাবক এবং সব শ্রেণিপেশার সমন্বয়ে গড়ে ওঠে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের নতুন অধ্যায়। ছাত্র-জনতার তীব্র সংগ্রাম ও গণপ্রতিরোধের ধারাবাহিকতায় ৫ আগস্ট (৩৬ জুলাই) স্বৈরাচারী তৎকালীন অবৈধ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।’
এই ঐতিহাসিক ঘটনার স্মরণে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ আগামী ১৮ জুলাই (শুক্রবার) ‘জুলাই জাগরণ ও স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে পালন করবে।
দিবসটি উপলক্ষ্যে সারা দেশে ছাত্রসমাজকে সঙ্গে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল, সমাবেশ এবং জেলা প্রশাসকের বরাবর স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
চার দাবি ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের–
১. চলমান খুন, ধর্ষণ ও চাঁদাবাজির বিচার
২. জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার পুনর্বাসন ও আহতদের চিকিৎসা
৩. দ্রুততম সময়ে ‘জুলাই সনদ’ ঘোষণা
৪. পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাস্তবায়ন।
এমকে/এসএন