চট্টগ্রাম যেন প্রস্তুত আবার জেগে ওঠার জন্য। আজকের বিকেল শুধু আরেকটি সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা নয়—এ এক ইতিহাসের পুনরুজ্জীবন। ঠিক এক বছর আগে যে জুলাই অভ্যুত্থান নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা দেশকে, তার স্মৃতিচারণ আর সাংস্কৃতিক প্রতিফলনের জন্য আয়োজিত হচ্ছে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ’।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানটি শুরু হবে আজ বিকেল ৫টায়, চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামে। দর্শকের জন্য উন্মুক্ত এ আয়োজনের পেছনে রয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সক্রিয় সহযোগিতা।
এই অনুষ্ঠানের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম সাংস্কৃতিক কণ্ঠ, র্যাপার হান্নান। যাঁর ‘কথা ক’ গানটি এক সময় চারপাশে জাগিয়ে তুলেছিল প্রতিবাদের সুর, আজ আবার সেই মঞ্চেই বাজবে তার কথা। তার সুরে মিলবে সাহস, প্রতিবাদ আর আত্মপরিচয়ের নেপথ্য সুর।
মঞ্চে আরও থাকছেন সমকালীন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী পারশা মাহজাবিন পূর্ণি ও এলিটা করিম। গাওয়া হবে সেই প্রিয় ‘চলো ভুলে যাই’—যা এক সময় আশ্রয় হয়েছিল হাজারো তরুণের নিঃশব্দ কান্নার। গানের তালে তালে আবার নতুন করে ভাবনার জন্ম দেবে ব্যান্ড ‘শিরোনামহীন’ ও ‘চিম্বুক’।
তবে শুধু গান নয়—এ আয়োজনে থাকছে চলচ্চিত্রও। প্রদর্শিত হবে তিনটি ছবি—‘জুলাই বিষাদ সিন্ধু’, ‘দীপক কুমার গোস্বামী স্পিকিং’ ও ‘জুলাই বীরগাথা’। এই চলচ্চিত্রগুলোতে ধরা পড়বে সেই সময়ের ভয়, সাহস ও সংকল্পের গল্প।
সবশেষে থাকছে ড্রোন শো, যেখানে আকাশজুড়ে ফুটে উঠবে পতিত সরকারের স্বৈরশাসনের প্রতিচ্ছবি, আর সেই সঙ্গে জুলাই-আগস্টের ঘটনা প্রবাহের চিত্রকল্প। প্রযুক্তি ও কল্পনার মিশেলে সেই শো হয়ে উঠবে এক ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ, এক অবিনাশী স্মরণ।
এর আগে সোমবার ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারেও অনুষ্ঠিত হয়েছিল জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মরণে ‘জুলাই উইমেনস ডে’। যেখানে নারীদের ভূমিকা স্মরণ করে সংগীত পরিবেশনার পাশাপাশি আয়োজন করা হয়েছিল ড্রোন শো।
এ যেন ইতিহাসের সঙ্গে বর্তমানের কথোপকথন—গানে, ছবিতে, আলোয় ও স্লোগানে।
এসএন