২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনের জন্য সর্বোচ্চ মর্যাদা দিয়ে এককালীন অনুদান ও ভাতা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই আজম।
বুধবার (১৬ জুলাই) নগরের বহদ্দারহাটে ছাত্র-জনতার জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে ‘স্ট্রিট মেমোরি স্ট্যাম্প’ নির্মাণকাজের উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা জানান তিনি। উপদেষ্টা বলেন, সামনের দিনে যারা রাষ্ট্র শাসন করবে তারা যেন আর স্বৈরাচারী মনোভাব পোষণ করতে না পারে সেজন্য দেশের যে ৮৬৪টি স্থানে শহীদ হয়েছেন সেসব জায়গায় স্থায়ীভাবে স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের কাজ দ্রুত চলছে, আমরা চাই আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রেখে বিচারিক কাজ সম্পন্ন করতে। সেজন্য বিচারিক প্রক্রিয়া নিয়ে যেন কোনো ধরনের প্রশ্ন না ওঠে সেজন্য বিচারকাজ সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে। ফারুক-ই আজম বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের স্বজনদের যেন মানবেতর দিনযাপন করতে না হয় সেজন্য সরকার আলাদা অধিদপ্তর গঠনের মাধ্যমে তাদের সর্বোচ্চ সহায়তা করবে। তারা যেন পরিবার-পরিজন নিয়ে সুন্দরভাবে জীবনযাপন করতে পারেন সেই পদক্ষেপ সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হবে।
হত্যাকাণ্ডে দায়ীদের বিচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দ্রুত বিচারের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এর দুটো দিক আছে- দ্রুত বিচার এটা ক্যাঙ্গারু বিচার। আর বিচারে দীর্ঘসূত্রতা এটা বিচারহীনতা। বিচারের নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী দুইটা আদালত গঠন করা হয়েছে, অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে।
উপদেষ্টা বলেন, কেউ যেন এই বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে কোনো প্রশ্ন তুলতে না পারে, আপনারা কি আগে কখনো দেখেছেন বিচার প্রক্রিয়া আদালত থেকে সরাসরি সম্প্রচার হয়? এটা করা হচ্ছে, সারাবিশ্ব যেন দেখে যে আমাদের এ ধরনের বিচার করার সক্ষমতাও আছে। এ সময় চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মো. জিয়াউদ্দীন, সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম, স্থানীয় সরকার শাখার উপ-পরিচালক মো. নোমান হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
ইউটি/টিএ