ইসরাইলের সাম্প্রতিক হামলার উদ্দেশ্য ছিল তেহরানের শাসন ব্যবস্থাকে দুর্বল করা এবং অস্থিরতা ছড়িয়ে সরকার উৎখাত করা- এমন কথাই জানিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।
খামেনি তার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘দখলদারদের হিসাব এবং পরিকল্পনা ছিল ইরানের নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তিত্ব ও সংবেদনশীল কেন্দ্রগুলোকে টার্গেট করে ব্যবস্থাকে (শাসন) দুর্বল করা।’
তিনি আরও বলেন, এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য ছিল ‘অস্থিরতা সৃষ্টি করা এবং জনগণকে রাস্তায় নামিয়ে সরকার উৎখাত করা’। খবর টাইমস অব ইসরাইলের।
এদিকে, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে কাবু হয়ে ইসরাইলকে যুক্তরাষ্ট্রের কাঁধে ভর করতে হয়ে বলেও মন্তব্য করেছেন আয়াতুল্লাহ খামেনি। তেহরান যেকোনো ধরনের নতুন হামলা মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
ইসরাইলের বিরুদ্ধে ১২ দিনের সামরিক সংঘাতে ইরানের আত্মবিশ্বাস, সামরিক শক্তি আর জনগণের ঐক্যের ভূঁয়সী প্রশংসা করেছেন আয়াতুল্লাহ খামেনি। তেহরানে এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে তিনি বলেন, এ যুদ্ধ ইরানের বিরুদ্ধে ইসরাইলের একা লড়ার অক্ষমতা প্রমাণ করে দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, তেহরানের একের পর এক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র হামলা সামলাতে ব্যর্থ হয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে আকড়ে ধরতে বাধ্য হয় ইসরাইল। নেতানিয়াহু প্রশাসন শেষ পর্যন্ত ওয়াশিংটনের কূটনৈতিক হস্তক্ষেপের জন্য মরিয়া হয়ে পড়ে। দিন যত যাবে, ততই ইসরাইলের ক্ষয়ক্ষতি প্রকাশ পাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
গত ১৩ জুন ইরানের পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপনাগুলোতে আকস্মিক হামলা চালায় ইসরাইল। এর পরপরই পাল্টা জবাব দেয়া শুরু করে ইরান। একপর্যায়ে ইরানের হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্রও।
কেএন/এসএন