২০১৫ সালের জুলাইয়ে মুক্তি পেয়েছিল এক এমন ছবি, যা শুধু বিনোদন দেয়নি—মানবিকতার পাঠও দিয়েছিল। বজরঙ্গি ভাইজান। সালমান খান অভিনীত এই ছবি এবার পা দিল ১০ বছরে। এই বিশেষ দিনে ছবির পরিচালক কাবির খান বললেন, "এই ছবি শুধু মনোরঞ্জন করেনি, অনেক হৃদয়ও সারিয়ে তুলেছে।"
সালমান খান, ছোট্ট হারশালি মালহোত্রা আর নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি অভিনীত এই ছবি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হয়ে উঠেছিল এক আবেগঘন প্রতীক। একটি বোবা শিশুকন্যাকে তার পাকিস্তানি পরিবারে ফেরানোর মিশনে এক হিন্দু ধর্মপ্রাণ যুবকের লড়াই—এটাই ছিল মূল কাহিনি। কিন্তু এর ভেতরেই ছিল ভালোবাসার, সহানুভূতির, একাত্মতার শক্তিশালী বার্তা। ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত পার করে এসে ছবির গল্প পৌঁছে গিয়েছিল মানুষের হৃদয়ে, এমনকি দুই দেশেরই দর্শকরা চোখের জল মুছেছিলেন একসঙ্গে।
কাবির খান স্মরণ করলেন সেই সময়, যখন পাকিস্তান থেকেও অনেক চিঠি আর বার্তা পেয়েছিলেন তাঁরা—যেখানে সাধারণ মানুষ এই ছবির জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছিলেন। “ছবির কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ছিল না, ছিল কেবল মানবিক যোগাযোগের গল্প”, বললেন কাবির।
এক দশক কেটে গেছে। তবুও বজরঙ্গি ভাইজানের প্রভাব এতটুকু কমেনি। ছবির মিষ্টি হাসি-কান্না আর ‘পবন’র নিষ্পাপ দৃষ্টিভঙ্গি আজও অনেকের মনে জীবন্ত। এই যুগে যেখানে বিভাজন আর বিদ্বেষ জোরাল, সেখানে বজরঙ্গি ভাইজান দেখিয়েছিল—ভালোবাসা আর সহানুভূতি পারে সব সীমানা ছাপিয়ে যেতে।
এখনও কেউ যখন বলে, "ফিল্মটা শুধু ছবি নয়, একটা অনুভূতি", তখন বজরঙ্গি ভাইজান-এর নাম প্রথম সারিতেই আসে। ১০ বছর পেরিয়েও তাই এর গুরুত্ব অমলিন—হৃদয়ের সঙ্গে হৃদয়কে জুড়ে দেওয়া সেই সেতু আজও অটুট।
এসএন