পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং দেশটির প্রধান বিরোধী নেতা ইমরান খানকে ‘ডেথ সেলে’ বন্দি করে অমানবিকভাবে রাখা হয়েছে। এমনকি আইনজীবী ও নিকট আত্মীয়দের সঙ্গেও তাকে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না।
এমনটাই দাবি করেছে ইমরান খানের প্রতিষ্ঠিত দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইমরান খানকে ‘ডেথ সেলে’ বন্দি রাখা হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে পিটিআইয়ের কেন্দ্রীয় তথ্য সচিব শেখ ওয়াকাস আকরাম অভিযোগ তোলেন।
তিনি জানান, ইমরান খানকে দিনে ২২ ঘণ্টা একা একটি কক্ষে আটকে রাখা হচ্ছে। তাকে পত্রিকা, টেলিভিশন বা বই পড়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না, এমনকি আইনজীবী ও নিকট আত্মীয়দের সঙ্গেও দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না।
আকরাম বলেন, “এই অবস্থা আসলে এক ধরনের মানসিক নির্যাতন এবং মৌলিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের নামান্তর।”
পিটিআইয়ের এই মুখপাত্র দাবি করেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ইমরান খানের ছয়জন নির্ধারিত ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করার অধিকার রয়েছে, কিন্তু সেটিও লঙ্ঘন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, “এটা সরাসরি আদালত অবমাননার শামিল।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবিকেও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হচ্ছে না, আর ইমরান খানের বোন আলিমা খান পর্যন্ত তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারছেন না।
পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতির প্রতি হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়ে আকরাম বলেন, “আদালতের আদেশ যেভাবে উপেক্ষা করা হচ্ছে, তাতে শুধু বিচার বিভাগের মর্যাদাই ক্ষুণ্ন হচ্ছে না, বরং দেশের পুরো বিচারব্যবস্থাকে উপহাস করা হচ্ছে।”
সংবাদ সম্মেলনে আকরাম আরও দাবি করেন, কারাগারে বন্দি পিটিআই নেতাদের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটছে এবং তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হচ্ছে। তিনি বলেন, (সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী) শাহ মেহমুদ কুরেশির শারীরিক অবস্থা ক্রমেই খারাপ হচ্ছে।
অর্থনৈতিক ইস্যুতেও সরকারকে আক্রমণ করে আকরাম বলেন, গত ১৫ মাসে পেট্রোলের দাম বেড়েছে ৮২ শতাংশ, যেখানে পিটিআই সরকারের আমলে মাত্র ৫১ রুপি বেড়েছিল। তিনি অভিযোগ করেন, “বর্তমান সরকার ভর্তুকি বাতিল করে পেট্রোলের দাম ২২০ রুপিতে তুলে দিয়েছে।”
এসএন