পাকিস্তানি অভিনেত্রী হুমায়রা আসগরের মৃত্যুতে তৈরি হচ্ছে একের পর চাঞ্চল্য। গত ৯ জুলাই করাচির একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার করা হয় তার পচনধরা মরদেহ। পুলিশ জানিয়েছে, ৩২ বছর বয়সী এই অভিনেত্রীর মৃত্যু হয়েছে ৯ মাস আগেই; এর আগে সকলের সঙ্গে কমিয়ে দেন যোগাযোগও। এবার এই রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রীর বাবা-মা।
তাদের অভিযোগ, মেয়েকে কেউ হত্যা করেছেন!
পাকিস্তানি গণমাধ্যমের খবর, হুমায়রার মরদেহ যেভাবে পাওয়া গেছে, তাতে সন্দেহের জায়গা থেকেই যাচাইয়ের দাবি জানাচ্ছেন অভিনেত্রীর বাবা। হুমায়রার বাবা ডা. আসগর বলেন, ‘মেয়েকে যেভাবে উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখা গেছে, তা স্বাভাবিক নয়। এর পেছনে এমন কেউ জড়িত, যার মনে আল্লাহর ভয় নেই।’
এদিকে মেয়ের মৃত্যুর পর থেকেই সামাজিক মাধ্যমে গুঞ্জন ছড়ায়, হুমায়রার পরিবার নাকি তার মরদেহ গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে, কিংবা তিনি আর্থিক সংকটে ভুগছিলেন, এমনকি বাসাভাড়া দিতেও হিমশিম খাচ্ছিলেন।
তবে সব খবরকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন তার পরিবার।
হুমায়রার পরিবার জানিয়েছে, ও ভালো আয় করতো, অনেক দামি জামাকাপড় তার ঘরে পাওয়া গেছে যেগুলো সে পরেওনি। যদি কোনো বিল বকেয়া থেকে থাকে, তাহলে সেটা তার মৃত্যুর পরের সময়ের হতে পারে।
হুমায়রার বাবা জানান, তিনি ভেবেছিলেন হুমায়রা বিদেশে ঘুরতে গেছে।
তাই অপেক্ষায় ছিলেন। তারপর হঠাৎ একদিন টেলিভিশনে খবর দেখে স্তব্ধ হয়ে যাই।
অভিনেত্রীর পরিবার আরও জানায়, হুমায়রার সঙ্গে তাদের কোনো বিচ্ছেদ হয়নি। বরং সে প্রতি কয়েক মাস পর পর বাড়িতে আসত এবং নিয়মিত যোগাযোগ রাখত।
এসএন