পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পে দেখা দিয়েছে নতুন জটিলতা। ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান চীনের এক্সিম ব্যাংক ঋণের শেষ ধাপের অর্থ ছাড় দিচ্ছে না। দফায় দফায় চিঠি ও বৈঠক হলেও কোনো সমাধান মেলেনি। ফলে সরকারের সামনে দাঁড়িয়েছে বিশাল ভর্তুকির শঙ্কা।
সবশেষ ২ জুলাই অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে বৈঠকে ভ্যারিয়েশনের বাড়তি খরচের পুরো টাকা ঋণ বাবদ না পাওয়ার আশঙ্কা তোলা হয়। দুই দেশের সরকারি পর্যায়ে সমঝোতা না হলে প্রায় সাড়ে ৭০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হবে সরকারকে।
ভ্যারিয়েশনের জন্য চুক্তিতে বরাদ্দ ছিল ৪২ দশমিক তিন আট মিলিয়ন ডলার, যা প্রায় ৩৩৪ কোটি টাকার সমান। কিন্তু খরচ হয়েছে এক হাজার ৮০ কোটি টাকা। চীন এই অতিরিক্ত ব্যয় বহন করতে রাজি নয়, যদিও চুক্তির ব্যত্যয় হবে না।
আন্ডারপাস, নতুন রেলসেতু, লেভেল ক্রসিংগেট ও ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটে নতুন লাইন নির্মাণসহ নীতিগত সিদ্ধান্তে খরচ বেড়েছে। কমলাপুর টিটিপাড়া ও ফরিদপুর ভাঙ্গা জংশনে বাড়তি সংযোজনও এই ব্যয় বাড়িয়েছে। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ঋণের নিষ্পত্তি না হলে আর অর্থ ছাড় পাওয়া যাবে না।
শেষ ধাপে ২৬০ মিলিয়ন ডলার ছাড় বাকি ছিল, এর মধ্যে ১৬০ মিলিয়ন ফেরত দেওয়া হলেও বাকি ১০০ মিলিয়ন ডলার আটকে আছে। ঠিকাদারের প্রায় ১ হাজার ৯৭২ কোটি টাকা পাওনা ঝুলে আছে ফেব্রুয়ারি থেকে। তবে রেলওয়ের মহাপরিচালক আশা করছেন, শেষ মুহূর্তে হলেও ঋণের টাকা ছাড় হবে। নাহলে ঠিকাদার বিপদে পড়বে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জি-টু-জি প্রকল্পে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক বড় ভূমিকা রাখে। চুক্তির দক্ষতা না থাকায় এমন জটিলতা তৈরি হয়েছে।
এমকে/এসএন