জিম্বাবুয়ের ইনিংসের শেষেই সম্ভাব্য ফলটা আন্দাজ করা যাচ্ছিল। রাচিন রবীন্দ্র, ডেভন কনওয়ে, ড্যারেল মিচেল, মার্ক চাপম্যান ও মাইকেল ব্রেসওয়েলদের সমন্বয়ে গড়া ব্যাটিং লাইনআপের সামনে ১২০ রান যে একটুও নিরাপদ নয়, সেটার প্রমাণ মিলল ম্যাচ শেষেও।
হারারেতে স্বাগতিকদের দেওয়া লক্ষ্য পেরোতে নিউজিল্যান্ডকে কোনো বেগই পোহাতে হলো না। ৩৭ বল হাতে রেখেই ১২১ রান তাড়া করে ৮ উইকেটে জিতেছে তারা। ত্রিদেশীয় সিরিজের দুই ম্যাচে এটা নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় জয়। জিম্বাবুয়ে হারল টানা দুই ম্যাচ, আগেরটি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। একই ভেন্যুতে আগামীকাল (২০ জুলাই) এই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেই জিম্বাবুয়ে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নামবে।
শুরুতে ব্লেজিং মুজারাবানি কিউই ব্যাটারদের কিছুটা চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন। ২টা উইকেটের মধ্য একটি (টিম সেইফার্ট ৫ বলে ৩) তার। ক্যাচ তুলেয়েছিলেন কনওয়ে ও মিচেলকে দিয়ে, কিন্তু জিম্বাবুয়ের ফিল্ডাররা সেগুলো লুফে নিতে পারেননি।
প্রথম ওভারে ক্যাচ তুলে দেওয়া কনওয়ে ম্যাচ শেষ করেই মাঠ ছেড়েছেন। এক বছর পর টি-টোয়েন্টি দলে ফেরা এই ওপেনার ৪০ বলে ৫৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন। ড্যারেল মিচেল অপরাজিত ছিলেন ২৬ রানে। তিনোতেন্ডা মাপোসার শিকার হওয়া রবীন্দ্র ১৯ বলে করেন ৩০।
৭ উইকেটে জিম্বাবুয়েকে ১২০ রানের মধ্যে আটকে রাখার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান ম্যাট হেনরির। ডানহাতি এই পেসার ২৬ রানে ৩ উইকেট শিকার করেন। ব্রায়ান বেনেতকে ফিরিয়ে তিনিই ভেঙেছিলেন স্বাগতিকদের উদ্বোধনী জুটি। ২০ বলে ২১ রান করেন বেনেত।
দলীয় ৬১ রানে পড়ে জিম্বাবুয়ের দ্বিতীয় উইকেট। এরপর শুরু হয় আসা-যাওয়ার মিছিল। সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন ওয়েসলে মেধেভেরে। অ্যাডাম মিলনে, মিচেল স্যান্টনার, ব্রেসওয়েল ও রবীন্দ্র নেন একটি করে উইকেট।
টিকে/