কিছু বিকৃত মস্তিষ্কের লোক ছাত্রদের দল গঠনের বুদ্ধি দিয়েছে : অলি আহমদ

লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম বলেছেন, ইউনূস সাহেবের কী অবস্থা হয় আল্লাহ জানে। আরো অনেক ঘটনা বাকি রয়ে গেছে। এখন মাত্র ট্রেইলার শুরু। এখন শুধু অ্যাডভারটাইজমেন্ট দেখাচ্ছে, টুথপেস্টের দেখাচ্ছে, স্নো-পাউডারের দেখাচ্ছে।

এখনো খেলা শুরু হয়নি। যে ছাত্ররা আন্দোলন করেছে, তারা রেভ্যুলেশনের গার্ডের মত একটা কাজ করতে পারত। ওয়াচডগ অর্থাৎ কোথায় কী অন্যায় হচ্ছে- আমরা এটার পেছনে লেগে থাকব। আজকে সেটা না করে, তারা নিজেরা একটা রাজনৈতিক দল গঠন করেছে।

এখানে কিছু বিকৃত মস্তিষ্কের লোক তাদেরকে বুদ্ধি দিয়েছেন। কিছু নাস্তিক লোকের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক হয়েছে। এই নাস্তিকেরা আমাদের ছেলেগুলোকে বিপথগামী করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) ঢাকার আইডিইবি মিলনায়তনে বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

অলি আহমদ বলেন, যখন আন্দোলন চলছিল, প্রত্যেকদিন আমি দিনের ১০টা থেকে রাত একটা-দেড়টা পর্যন্ত ২-৩ জন লোক নিয়ে সমগ্র ঢাকাতে, বাংলাদেশে কী হচ্ছে মনিটরিং করতাম। তখন আমাকে একজনে বলল, ‘স্যার, এরা তো রাজনৈতিক দল করবে।’ রাজনৈতিক দল করতে পারে, তবে কী হবে জানো? বললেন, ‘না, স্যার।’ আমি বললাম, গ্রামে কিছু লোকের ছেলেপেলে পয়সা থাকলে, তারা বেলুন ফুটায়। বেলুন ফুলিয়ে রাস্তায় ঘুরে, আর কিছু দুষ্টু ছেলে এসে সেটা ফুটা করে দেয়।

ছাত্রদের অবস্থা এটাই হবে। কারণ মাথার উপরে ছায়া না থাকলে রোদ-বৃষ্টি সবকিছু সামাল দিতে হবে। তারা এনসিপি করেছে, কিন্তু তাদের মাথার উপরে কোনো ছাদ নাই। ইউনূস সাহেব তাদেরকে রক্ষা করতে পারবে না। ইউনূস সাহেবের কী অবস্থা হয়- এটা আল্লাহই জানে। আরো অনেক ঘটনা বাকি রয়ে গেছে।

তিনি বলেন, এখন মাত্র ট্রেইলার শুরু। এখন শুধু অ্যাডভারটাইজমেন্ট দেখাচ্ছে, টুথপেস্টের দেখাচ্ছে, স্নো পাউডার দেখাচ্ছে। এখনো খেলা শুরু হয় নাই। তিন মাস আগের থেকে বলতেছি- আরো অনেক রক্তপাত বাকি আছে। কারণ এটা সম্পূর্ণ আকার ধারণ করেনি। অনেক পাগল আছে, বুদ্ধিজীবী পাগল। মাথা কাজ করে না। আল্লাহকে মানে না, রাসূলকে মানে না। কিন্তু টুপি মাথা ঠিকই দেয়। বিপ্লব, আন্দোলন ও যুদ্ধ- এটা কিন্তু পৃথক পৃথক জিনিস। এই গাধাগুলো যদি এই কথাটাই না বুঝে, তাহলে কী লেখাপড়া করেছে? যুদ্ধ হলো একটা সশস্ত্র সংগ্রাম। দুই গ্রুপের মধ্যে অস্ত্র থাকে। দুই গ্রুপে যুদ্ধ করে। সেই যুদ্ধটা কী জন্য হয়? দেশকে স্বাধীন করার জন্য হয়, বা অন্য দেশকে দখল করার জন্য হয়। এখানে তো এরকম কোনো ব্যাপার ছিল না। দেশকে স্বাধীন করার ব্যাপারও ছিল না। অধিকার করার ব্যাপারও ছিল না। এখানে ব্যাপারটা ছিল হাসিনামুক্ত বাংলাদেশ করার, আওয়ামী লীগ মুক্ত বাংলাদেশ করার। সুতরাং বিপ্লব বা একদফার আন্দোলন, আর মুক্তিযুদ্ধ একই জিনিস না।

এ সমস্ত মাথায় যারা টুপি দিয়ে কিছু পাগল ছেলেদেরকে বুঝাচ্ছে, তাদেরকে আমি অনুরোধ করব, পাগলামি ছাড়ো। গাঁজা খাওয়ার খাও। কিন্তু মানুষকে গাঁজা খাওয়ানোর চেষ্টা করো না।

এফপি/টিএ 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
১০ হাজার নেতাকর্মী নিয়ে সোহরাওয়ার্দীতে নেত্রকোণার মিছিল Jul 19, 2025
img
পটুয়াখালীতে যুবলীগের ৬ নেতা গ্রেফতার Jul 19, 2025
img
গোপালগঞ্জে ১৫০০-র বেশি আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা Jul 19, 2025
img
হাসপাতাল থেকে বাড়ি নয়, সন্তান-স্ত্রীকে নিয়ে কোথায় গেলেন সিদ্ধার্থ? Jul 19, 2025
img
পটুয়াখালী থেকে ৩ লঞ্চে জামায়াতের সমাবেশে ১৫ হাজার নেতাকর্মী Jul 19, 2025
img
বয়সে ছোট মোদির পা ছুঁতে এগিয়ে যান মিঠুন, এরপর যা ঘটল Jul 19, 2025
img
ভারতে আশ্রয় নেওয়া আওয়ামী লীগ নেতাদের নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য মমতার Jul 19, 2025
জামায়াত ক্ষমতায় যাওয়ার লক্ষ্য উদ্দেশ্য নয়, আরও যা বলছে নেতাকর্মীরা Jul 19, 2025
img
কুলাউড়া সীমান্ত পেরিয়ে ৩ বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ Jul 19, 2025
img
অবশেষে চূড়ান্ত হলো আর্জেন্টিনা-স্পেন ফিনালিসিমার সময় Jul 19, 2025
img
মেহেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ Jul 19, 2025
img
সমাবেশ ঘিরে সোহরাওয়ার্দীতে জড়ো হচ্ছেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা Jul 19, 2025
img
গোপালগঞ্জে কারফিউ শিথিল, নতুন সিদ্ধান্ত রাতে Jul 19, 2025
img
ভারতীয় নয় এমন অনুপ্রবেশকারীদের গ্রেফতার অব্যাহত থাকবে: নরেন্দ্র মোদি Jul 19, 2025
img
সমাবেশ ঘিরে দলীয় নেতাকর্মীদের যেসব নির্দেশনা দিল জামায়াত Jul 19, 2025
img
গাজার সব ভবন পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করছে ইসরায়েল Jul 19, 2025
img
যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে সিরিয়া ও ইসরায়েল : যুক্তরাষ্ট্র Jul 19, 2025
img
ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় বাড়তে পারে তাপমাত্রা Jul 19, 2025
img
জামায়াতের সমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাবি শিক্ষার্থীদের জরুরি নির্দেশনা Jul 19, 2025
img
জাতীয় সমাবেশ সফল করতে জামায়াতের ২০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত Jul 19, 2025