ছাত্রশিবিরের সাহিত্য সম্পাদক এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম নেতা সাদিক কায়েম বলেন, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় প্রশ্নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। রাজনৈতিক ও আদর্শিকভাবে নতুন এক ‘ইসলামী বিপ্লবের’ ডাক দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, দেশ আজ গভীর সংকটে। এই সংকট মোকাবিলায় ইসলামপন্থিদের ঐক্য এবং সংগ্রামই একমাত্র পথ। আগামীর বিপ্লব হবে ইসলামের বিপ্লব। এ দেশের জনগণ আগেও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে, এবারও দাঁড়াবে।
সেই সংগ্রামে শহীদ হয়েছেন অনেকে-শাপলায়, ক্যাম্পাসে, আর সর্বশেষ জুলাই অভ্যুত্থানে।
শনিবার (১৯ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত সমাবেশে সাদিক কায়েম এ কথা বলেন।
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সকাল থেকেই চলছিল বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জাতীয় সমাবেশের প্রথম অধিবেশন।
এর আগে সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে জাতীয় সমাবেশের প্রথম পর্ব শুরু হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন সাইফুল্লাহ মানসুর। সাইমুম শিল্পী গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করেছে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিআর পদ্ধতি, জুলাই গণহত্যার দৃশ্যমান বিচার এবং নির্বাচনের আগে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করাসহ ৭ দফা দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর এই জাতীয় সমাবেশ আয়োজন করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে যোগ দিচ্ছেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়ক দিয়েও একের পর এক মিছিল যেতে দেখা যাচ্ছে। যদিও এসব নেতাকর্মী সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢোকার সুযোগ পাচ্ছেন না। কারণ সেখানে আগেই পরিপূর্ণ হয়ে গেছে। নেতাকর্মীরা আশপাশের সড়কে অবস্থান নিয়েছেন।
নেতাকর্মীরা বলছেন, জামায়াতের এই সমাবেশ ইতিহাস গড়ার সমাবেশ। অতীতে এমন হয়নি, ভবিষ্যতেও এমন সমাবেশ বাংলাদেশে হবে কিনা তা বলা যায় না।
টিকে/