এসএসসি পুনঃনিরীক্ষণ: শুধু ঢাকায় ৯২ হাজার শিক্ষার্থী, সর্বমোট আবেদন ২ লাখ ২৩ হাজার

চলতি বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে অসন্তোষ জানিয়ে রেকর্ড সংখ্যক শিক্ষার্থী পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছে। গত ১৬ বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির হার হওয়ায়, শিক্ষার্থীরা ব্যাপক হারে ফল চ্যালেঞ্জ করেছে। শুধুমাত্র ঢাকা শিক্ষা বোর্ডেই ৯২ হাজার ৮৬৩ জন শিক্ষার্থী, মোট ২ লাখ ২৩ হাজার ৬৬৪টি খাতা পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছে।

ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন গ্রহণ করা হয়েছিল ১১ জুলাই থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত। টেলিটক মোবাইল অপারেটরের মাধ্যমে প্রতিটি বিষয়ের জন্য নির্ধারিত ১৫০ টাকা ফি দিয়ে আবেদন করেন শিক্ষার্থীরা। আবেদনকারীর সংখ্যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ২১ হাজার বেশি। উত্তরপত্র চ্যালেঞ্জের সংখ্যাও বেড়েছে প্রায় ৪০ হাজার।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, এ বছর গণিত বিষয়ে সবচেয়ে বেশি আবেদন পড়েছে ৪২ হাজার ৯৩৬টি। এরপর ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রে সমান ১৯ হাজার ৬৮৮টি করে, পদার্থবিজ্ঞানে ১৬ হাজার ২৩৩টি এবং বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রে ১৩ হাজার ৫৫৮টি আবেদন করা হয়েছে। সবচেয়ে কম আবেদন পড়েছে চারু ও কারুকলায়—মাত্র ৬টি।

তবে পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন মানেই নতুন করে খাতা মূল্যায়ন নয়, বরং উত্তরপত্রে নম্বর গণনায় ভুল, প্রশ্ন বাদ পড়া, ওএমআর শিটে নম্বর না ওঠানো বা ভুল বৃত্ত ভরাট হয়েছে কি না—এসব যাচাই করা হয়। এসব ক্ষেত্রেই সংশোধন করে ফলাফল নতুন করে প্রকাশ করা হয়।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার জানান, ফল প্রকাশের তারিখ থেকেই ৩০ দিনের মধ্যে পুনঃনিরীক্ষণের ফলাফল প্রকাশের নিয়ম রয়েছে। সে হিসেবে আগামী ৯ আগস্টের মধ্যেই ফলাফল প্রকাশ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। যাদের ফল পরিবর্তন হবে, তাদের মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠিয়ে জানানো হবে। সংশোধিত ফল বোর্ডের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হবে।

এদিকে, শিক্ষা বোর্ড জানায়, এবার সারা দেশে ৯টি সাধারণ বোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে মোট ৬ লাখ ৬৬০ জন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে। এর মধ্যে ৩ লাখ ২৪ হাজার ৭১৬ জন ছাত্র এবং ২ লাখ ৭৫ হাজার ৯৪৪ জন ছাত্রী।

এফপি/ টিএ 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুন্দর সমাজ উপহার দিতে চাই : আমিনুল হক Jul 20, 2025
img
টেলিগ্রামে বিনিয়োগের নামে প্রতারণা, লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া দুই প্রতারক গ্রেফতার Jul 20, 2025
img
আফগানিস্তানের বিপক্ষে অক্টোবরে সিরিজ খেলতে পারে বাংলাদেশ Jul 20, 2025
img
সালাহউদ্দিনকে কটুক্তির ঘটনায় কক্সবাজারে বিএনপির তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ Jul 20, 2025
img
জেলখানায় মাদক পৌঁছে দিতে এসে দর্শনার্থী আটক Jul 20, 2025
img
স্টেডিয়ামে খাবার-পানি নিয়ে প্রবেশের অনুমতি, মানতে হবে আরও কিছু শর্ত Jul 20, 2025
img
বাংলাদেশকে নতুন করে বিনির্মাণ করব : নাহিদ ইসলাম Jul 19, 2025
img
রাজধানীর পল্লবীতে বাসে অগ্নিকাণ্ড Jul 19, 2025
img
ভুল সিদ্ধান্তে যেন ফ্যাসিবাদ পুনর্বাসনের সুযোগ না পায় : তারেক রহমান Jul 19, 2025
img
ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো বক্তব্য Jul 19, 2025
img
হাসপাতাল থেকে দেশবাসীর উদ্দেশে বার্তা দিলেন জামায়াত আমির Jul 19, 2025
img
নতুন সংবিধানে সকল জাতিগোষ্ঠীর অধিকার নিশ্চিত করা হবে : নাহিদ ইসলাম Jul 19, 2025
img
কপিল শর্মার শো’তে এসে বিপদ, পরিণীতি ছুটলেন হাসপাতালে Jul 19, 2025
img
ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো কি এক হতে পারবে? জিল্লুর রহমানের বক্তব্য Jul 19, 2025
img
দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ বাংলাদেশের Jul 19, 2025
img
দুবাই‌য়ে ট্রান্সফার ভিসায় সমস্যারত‌দের বিষ‌য়ে নজর রাখছে সরকারঃ আন্তর্জাতিকবিষয়ক বিশেষ দূত Jul 19, 2025
বক্তব্য রাখছেন এটিএম আজহারুল ইসলাম Jul 19, 2025
img
জামায়াত আমিরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন প্রধান উপদেষ্টা Jul 19, 2025
img
জামায়াতের অনেক দায় বিএনপি নিয়েছে : সালাহউদ্দিন টুকু Jul 19, 2025
img
এক ছাদের নিচে থাকলেও আলাদা ঘরে অনুপম-কিরণ! Jul 19, 2025