আগে সংস্কার পরে নির্বাচন : ফয়জুল করীম

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেছেন, ইসলামী দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। দেশে এখনো নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়নি, আগে সংস্কার পরে নির্বাচন। আগামীকাল যদি সংস্কার হয়ে নির্বাচন করতে বলে, আমরা আগামীকাল নির্বাচন করব।

গতকাল শনিবার (১৯ জুলাই) প্রয়োজনীয় রাষ্ট্র সংস্কার, গণহত্যার বিচার, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলা শিশু পার্ক মাঠে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত গণসমাবেশ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম বলেন, ‘ইসলামী দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। দেশে এখনো নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয়নি, আগে সংস্কার পরে নির্বাচন। আগামীকাল যদি সংস্কার হয়ে নির্বাচন করতে বলে, আমরা আগামীকাল নির্বাচন করব।’

তিনি আরো বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে দেশে চাঁদাবাজি, খুন, ধর্ষণ ও রাহাজানির মতো অপরাধ আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে।

২০২৪ সালের জুলাই মাসে যে আন্দোলন হয়েছিল তা বৈষম্য দূর করার উদ্দেশে, কিন্তু বাস্তবচিত্র হলো সেই বৈষম্য এখন আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। যে দাবির জন্য মানুষ জীবন দিয়েছে, সেই দাবি আজও অধরা। আমরা চাই দেশে পিআর (আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক) পদ্ধতিতে নির্বাচন হোক। এতে করে সংসদে সব দলের সুষম অংশগ্রহণ নিশ্চিত হবে, একক দলের আধিপত্য থাকবে না।

এর ফলে নতুন করে কোনো স্বৈরাচার জন্মের সুযোগ সৃষ্টি হবে না এবং জনগণকে নিজেদের দাবি আদায়ের জন্য বারবার রাজপথে নামতে হবে না।’

সমাবেশ শেষে তিনি কুড়িগ্রাম-৪ আসনে ‘হাত পাখা’ প্রতীকের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন। এ সময় দলের মনোনীত প্রার্থীকে নির্বাচিত করে সংসদে পাঠাতে এলাকাবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।

গণসমাবেশে কুড়িগ্রাম-৪ আসনের মনোনীত প্রার্থী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ রৌমারী উপজেলা শাখার সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক মো. হাফিজুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা নুর বখত মিয়া, রাজিবপুর উপজেলা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ ইমাম হোসাইন, রৌমারী উপজেলা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সাবেক সভাপতি মাওলানা আক্তার হোসেনসহ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

টিকে/

Share this news on:

সর্বশেষ

img
অতীতে সংবিধানে সব জনগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি: নাহিদ Jul 20, 2025
শিগগিরই সংঘাতে জড়াবে বিএনপি-জামায়াত: রনি Jul 20, 2025
‘আখতারের সততা ও সহনশীলতায় দাঁড়াবে এনসিপি’ - রাশেদ খাঁন Jul 20, 2025
“পার্বত্য চট্টগ্রামে অন্য একটি পক্ষ বার বার সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে " Jul 20, 2025
img
জামায়াত আমিরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন সেনাপ্রধান Jul 20, 2025
img
‘রাষ্ট্র থেকে দুর্নীতি বন্ধ না হলে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব নয়’ Jul 20, 2025
img
‘বান্দরবানের জনসাধারণের কাছে সারজিস আলমকে ক্ষমা চাইতে হবে’ Jul 20, 2025
img
ফিটনেসবিহীন গণপরিবহন সড়ক থেকে সরিয়ে নিতে বিশেষ ঋণ দেয়া হবে: ফাওজুল কবির Jul 20, 2025
দুই ভাইয়ের ঘরে এক স্ত্রী, আলোচনায় ব্যতিক্রমী ঘটনা Jul 20, 2025
img
খুলনা ও বরিশালে সোমবার থেকে চালু হচ্ছে সব ধরনের অনলাইন জিডি সেবা Jul 20, 2025
img
পিডিবির সাবেক প্রধান প্রকৌশলী শহীদুলের ৬ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড Jul 20, 2025
img
ভূমিকর আদায়ের হার সন্তোষজনক : ভূমি উপদেষ্টা Jul 20, 2025
img
২৪ ঘণ্টায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে গ্রেফতার ১৭৮৩ জন Jul 20, 2025
সাবেক ৯ মন্ত্রীসহ ৩৯ জন আসামি হাজির আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে Jul 20, 2025
সমাবেশের অসুস্থতা কাটিয়ে দায়িত্বপালনে খুলনা যাচ্ছেন ডা. শফিকুর রহমান Jul 20, 2025
img
জাতীয় সমাবেশে যোগ দিতে এসে নেতাকর্মীর মৃত্যু, গভীর শোক প্রকাশ জামায়াত আমিরের Jul 20, 2025
img
দক্ষিণ কোরিয়ায় বন্যা ও ভূমিধসে নিহত ১৪ জন Jul 20, 2025
img
ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দর চালু করতে কমিটি গঠনে হাইকোর্টের রুল জারি Jul 20, 2025
img
রংপুর সিটি করপোরেশনকে মৃত ঘোষণা করে গায়েবানা জানাজা Jul 20, 2025
img
একই দিনে কি মুক্তি পাচ্ছে ‘দ্য রাজা সাব’ ও ‘ধুরন্ধর’? Jul 20, 2025