প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় স্বৈরাচারের দোসররা রয়ে গেছে : নাহিদ

প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় স্বৈরাচারের দোসররা এখনো রয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, সে কারণে ২৪ এর শহীদ পরিবারের সদস্যরা প্রাপ্ত সম্মানটুকু পায়নি।


আজ রবিবার (২০ জুলাই) সকালে চট্টগ্রামের মোটেল সৈকতে জুলাই শহীদ পরিবারের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

নাহিদ বলেন, সারা দেশে আমরা পদযাত্রা করছি, সব শহীদ পরিবারদের সঙ্গে বসতেছি।

তাদের সবারই কমবেশি একই সমস্যা। কিছু জায়গায় সমস্যাগুলো কম, সুযোগ-সুবিধাগুলো পৌঁছেছে বা খোঁজ খবর নেওয়া হয়েছে। আমরা যখন সরকারে ছিলাম, তখন আমরা তাদের নিয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম চাপ তৈরি করেছি। দেখা যাচ্ছে, উদ্যোগগুলো মাঠ পর্যায়ে পৌঁছায়নি বা পৌঁছাতে দেরি করছে এবং সেখানে অনেক ধরনের ঝামেলা এখনও হয়।
প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় স্বৈরাচারের দোসররা আছে। এবং শহিদ পরিবাররা যে সম্মান পাওয়ার কথা, আমরা বিভিন্ন জায়গায় সে অভিযোগগুলো শুনি।

তিনি বলেন, আমরা আপনাদের কাছে কোনো দল হিসেবে আসিনি। আমরা এসেছি অভ্যুত্থানে আমরা ছিলাম, আপনাদের পরিবারের সদস্যরা আমাদের সঙ্গে ছিল, সে জায়গা থেকে দল-মতের ঊর্ধ্বে একটি পরিবার মনে করি।

অবশ্যই শহীদ পরিবারদের শহীদদের কোনো দল হয়নি, এটা আমরা মনে করি। তারা পুরো বাংলাদেশের, দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন।

এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, আমরা আমাদের পার্টির পক্ষ থেকে সারা দেশে যাচ্ছি এবং সবার কথা শুনছি। আমরা দলের পক্ষ থেকে একটা শহীদ কল্যাণ-আহত সেল করছি, সেটার অধীনে আমরা আমাদের জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। যেখানে যাচ্ছি আমরা পুনরায় সবার নাম্বারগুলো নিচ্ছি।

এটি আমরা স্থানীয় একজন সংগঠনের মাধ্যমে করছি। জুলাইয়ের রাজনৈতিক যে ঘোষণাপত্র বা সনদ, সেটা আমরা সব সময় বলছি এবং ৩ আগস্টে সেটা নিয়ে আমরা ঢাকায় বড় প্রোগ্রাম করব। সরকার যাতে এটা দেয়। সরকারও বলছে ৫ আগস্টের মধ্যে দেবে।


 পিএ/টিকে 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
দেশের ইতিহাসে প্রথমবার ‘নন-ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট’ দেখলাম : দেবপ্রিয় Jul 20, 2025
img
আজারবাইজানে ঐতিহাসিক মসজিদের উদ্বোধন, দেড়শ বছর পর চালু Jul 20, 2025
img
চট্টগ্রামে শুরু এনসিপির সমাবেশ, যোগ দিচ্ছেন নেতাকর্মীরা Jul 20, 2025
img
কথার লড়াইয়ে মঞ্চে আগুন দেয়া, ব্যানার ছেঁড়া কোনো রাজনৈতিক চরিত্র হতে পারে না: সারজিস Jul 20, 2025
img
মিটফোর্ড ঘটনায় মূলহোতা মহিনের দায় স্বীকার Jul 20, 2025
img
সড়কে এমন সব যানবাহন আছে, যা থাকার কথা নয় : সড়ক উপদেষ্টা Jul 20, 2025
img
‘মেঘা১৫৭’-এর বিয়ের দৃশ্যে মন কাড়লেন চিরঞ্জীবী-নয়নতারা Jul 20, 2025
img
সৌদিতে গ্রেফতার ২৩ হাজারের বেশি প্রবাসী Jul 20, 2025
img
ভারতের প্রথম এফওয়ান চালকের জীবনী এবার সিনেমায় Jul 20, 2025
img
৪০ বছরের রপ্তানি খাতে এমন সংকট দেখিনি : এ কে আজাদ Jul 20, 2025
img
ভারতকে বেশি অর্থ দিয়ে বাংলাদেশ ও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বঞ্চিত করছে আইসিসি: মাইকেল ভন Jul 20, 2025
img
যে কারণে হাতে সবসময় এই ব্রেসলেট পরে থাকেন সালমান Jul 20, 2025
img
পাবনায় আওয়ামী লীগ নেতা মিনহাজসহ ১৬ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ Jul 20, 2025
img
বান্দরবান নিয়ে বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করলেন সারজিস আলম Jul 20, 2025
img
বিল্ডিংয়ে ঢোকা সাপকে নিজে ধরে জঙ্গলে ছাড়লেন সোনু Jul 20, 2025
img
পাকিস্তানের বিপক্ষে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ Jul 20, 2025
img
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে একদিনে ৪২৯ জন হাসপাতালে Jul 20, 2025
img
অতীতে সংবিধানে সব জনগোষ্ঠীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি: নাহিদ Jul 20, 2025
শিগগিরই সংঘাতে জড়াবে বিএনপি-জামায়াত: রনি Jul 20, 2025
‘আখতারের সততা ও সহনশীলতায় দাঁড়াবে এনসিপি’ - রাশেদ খাঁন Jul 20, 2025