প্রথম ১০ বলেই ১৮ রান তুলে ফেলা পাকিস্তানকে প্রথম ধাক্কা দিলেন তাসকিন। সাইম আইয়ুবের বিদায়ে শুরু। এরপর মেহেদী ফেরালেন সবশেষ দেখায় মাত্র ৪৬ বলে সেঞ্চুরি করা মোহাম্মদ হারিসকে। ফখর জামান একাই ঝড় তুললেও পাকিস্তানের বাকি ব্যাটারদের খাবি খাওয়াচ্ছেন টাইগার বোলাররা। উইকেট শিকারে যোগ দিয়েছেন তানজিম সাকিব ও মস্তাফিজুর রহমানও। তাতে পাওয়ারপ্লেতেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে পাকিস্তান।
আইয়ুব ও হারিসের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন পাকিস্তানের অধিনায়ক সালমান আগা। তানজিম সাকিবের ওভারের প্রথম বলেই ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যান তিনি। তবে পরের চার বলে সাকিবের সামনে রীতিমতো খাবি খেয়েছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক। তার সংগ্রাম শেষ হয় সেই ওভারের শেষ বলে। র্যাম্প স্কুপ খেলতে গিয়ে লিটনের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। আউট হওয়ার আগে ৯ বলে মাত্র ৩ রান করেন পাকিস্তানের অধিনায়ক।
পরের ওভারে বল হাতে পান মোস্তাফিজুর রহমান। আর প্রথম ওভারেই পান উইকেটের দেখা। রানের খাতা খোলার আগেই ফিরিয়েছেন হাসান নেওয়াজকে। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৪১ রান তুলতে ৪ উইকেট হারিয়েছে পাকিস্তান।
বিপর্যয়ে পড়া পাকিস্তানের বিপদ আরও বেড়েছে বাংলাদেশের দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ে। রানআউট হয়ে গেছেন মোহাম্মদ নেওয়াজ। লিটন দাসের থ্রো হাতে পেয়ে ননস্ট্রাইক প্রান্তে রানআউট হয়েছেন তিনি। করেছেন ৫ বলে ৩ রান। পাকিস্তান মাত্র ৪৬ রানে হারিয়েছে ৫ উইকেট। শেষ ৫ ওভারে মাত্র ১৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়েছে পাকিস্তান।
তবে, ফখর জামান ও সাইম আইয়ুবের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দারুণ শুরুর ইঙ্গিত দিচ্ছিল পাকিস্তান। শেখ মেহেদীর করা প্রথম ওভারেই দুটি চার মারেন ফখর। দ্বিতীয় ওভারে তাসকিনকে চার মারেন আইয়ুবও। কিন্তু ফ্লিক করতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৬ রান করে।
তৃতীয় ওভারে ফিরে আসা মেহেদীর ওপর চড়াও হয়েছিলেন ফখর। মারেন তিনটি বাউন্ডারি। কিন্তু সেই ওভারে উইকেটের দেখা পান মেহেদী। ওভারের শেষ বলে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দিয়ে ৪ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন হারিস।
এমআর/টিএ