জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ঘোষিত ‘জুলাই বিপ্লব পদযাত্রা’ আগামী মঙ্গলবার (২২ জুলাই) নোয়াখালীতে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ পদযাত্রার আয়োজন করেছে জেলা ও উপজেলা কমিটি। তবে কর্মসূচি সামনে রেখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছে বিভিন্ন দলের স্থানীয় কিছু নেতাকর্মী।
জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় সংগঠক এনসিপি নেতাদের দাবি, ‘গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে’ এ পদযাত্রা শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে মিছিল-সমাবেশ চলছে।
জানা গেছে, এই কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা, সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
কেন্দ্রীয় নেতাদের বরণে ও পদযাত্রা কর্মসূচির জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করছেন নোয়াখালীতে দায়িত্বরত এনসিপির স্থানীয় নেতারা। এদিকে দলের পদযাত্রা ঘিরে জেলার প্রতিটি উপজেলায় চলছে মাইকিং, বিতরণ করা হচ্ছে লিফলেট। এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও চালানো হচ্ছে প্রচারণা।
জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য ইমরান হোসান তুহিন গণমাধ্যমকে বলেন, আগামী ২১ জুলাই কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ফেনী জেলা হয়ে নোয়াখালী আসবেন। ২২ জুলাই সকাল ১১টায় জেলা শহরের পৌর বাজার পদযাত্রা শুরু হবে এবং তা শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সুপার মার্কেটের সামনে গিয়ে পথসভার মধ্য দিয়ে শেষ হবে। এরপর তারা লক্ষ্মীপুরে যাবেন। এই কর্মসূচি নোয়াখালীতে এনসিপির জনসম্পৃক্ততা আরও বাড়াবে এবং রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন বার্তা পৌঁছে দেবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করব। কিন্তু কিছু মহল পরিকল্পিতভাবে ভয়ভীতি ছড়াচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খোলা প্রোফাইল থেকে আমাদের কর্মসূচি প্রতিহতের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এসব চক্রান্ত মোকাবিলা করে আমরা রাজপথে থাকব।
জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট হুমায়রা নূর গণমাধ্যমকে বলেন, ২২ জুলাইয়ের কর্মসূচি ঘিরে আমরা কোনো সংঘাত চাই না। ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হয়েছে। প্রশাসন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশসহ পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের আশ্বাস দিয়েছেন। অন্যান্য রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে আমাদের শুভ কামনা জানানো হয়েছে। সবমিলিয়ে নিরাপত্তা নিয়ে এখন পর্যন্ত আমরা শঙ্কিত নই।