ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সবার অপেক্ষা সাগরিকার জন্য। কোচ পিটার বাটলার ও অধিনায়ক আফিদা খন্দকারের সঙ্গে এসেছিলেন বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নের অন্যতম কারিগর সাগরিকা। তার ৪ গোলেই বাংলাদেশ নেপালকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন।
চার গোল করে নিজের প্রতিক্রিয়া সাগরিকা ব্যক্ত করলেন এভাবে, 'অনেক ভালো লাগছে ৷ খেলতে পারছিলাম না এজন্য খারাপ লেগেছে। জেদ কাজ করছিল। নেপালের বিপক্ষে গোল করতেই হবে। টিমমেটরা বলছিল, 'নেপালের সঙ্গে খেলে দেখিয়ে দিবি।'
নেপালের বিপক্ষে আগের ম্যাচে লাল কার্ড দেখেছিলেন সাগরিকা। এজন্য তিন ম্যাচ খেলতে পারেননি। তিন ম্যাচ খেলেই তিনি ৮ গোল করেছেন। সর্বোচ্চ গোলদাতার স্বীকৃতি না পাওয়ায় খানিকটা আফসোস সাগরিকার, 'তিন ম্যাচ খেলতে পারলে হয়তো হতে পারতাম।' তিন ম্যাচ নিষেধাজ্ঞায় থেকে শিক্ষাও পেয়েছেন বাংলাদেশের ফরোয়ার্ড। তিনি বলেন, 'মাথা গরম করলে হবে না। আমাদের ফরোয়ার্ডের মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে।'
সাগরিকা বয়সভিত্তিক পর্যায়ে দুর্দান্ত খেলছেন। সিনিয়র দলে এখনো সেভাবে থিতু হতে পারেননি। জাতীয় দলে সাগরিকার সম্ভাবনা নিয়ে কোচ পিটার বাটলার বলেন, 'নিঃসন্দেহে সে ভালো ফরোয়ার্ড। তার এই পারফরম্যান্স জাতীয় দলের জন্য প্রবেশদ্বার। জাতীয় দলে তহুরা, শামসুন্নাহার, রিতুরাও দারুণ খেলছে।'
সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন নেপালের সহকারী কোচ। তিনি সাগরিকাকে ফাইনেস্ট স্ট্রাইকার হিসেবে আখ্যায়িত করলেন, 'সাগরিকা দক্ষিণ এশিয়ার ফাইনেস্ট স্ট্রাইকার। আজকের ম্যাচে অসাধারণ খেলেছে। তাকে আটকানোর পরিকল্পনা ছিল কাজে আসেনি।'
এফপি/এসএন