চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে অবস্থিত হেফাজতে ইসলামের মূলকেন্দ্র হিসেবে পরিচিত হাটহাজারী মাদ্রাসা পরিদর্শন করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা।
রোববার (২০ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, কেন্দ্রীয় ও চট্টগ্রামের নেতারা মাদ্রাসায় গেলে শিক্ষার্থীরা তাদের বরণ করে নেন।
এ সময় তারা হেফাজত ইসলামের প্রয়াত আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফি, আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী ও প্রয়াত মাদ্রাসার পরিচালকদের কবর জিয়ারত করেন।
জিয়ারতের আগে মাদ্রাসার দোতলায় দাঁড়িয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেন, হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা গণঅভ্যুত্থানে ১৭ জুলাই আমাদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে মাঠে নেমে আসেন। আপনারা যদি রাস্তায় নেমে না আসতেন তাহলে স্বৈরাচারী সরকারের হাত থেকে দেশ উদ্ধার করে নতুন বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে পারতাম না।
তিনি বলেন, এখন থেকে এদেশে কোনো বৈষম্য হবে না। আলেম সমাজকে নিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়তে চাই, বৈষম্য হলে সব সময় আপনারা রাস্তায় নেমে এসে আন্দোলন করেছেন।
জাতিসংঘের অফিস স্থাপনের বিষয়ে সব শিক্ষার্থীরা একসঙ্গে নাহিদের কাছে প্রশ্ন করলে নাহিদ বলেন, আলোচনার মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করা হবে।
পরে মাদ্রাসার পরিচালকের অফিসকক্ষে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন হাটহাজারী মাদ্রাসার সিনিয়র মুহাদ্দিছ মুফতি জসিম উদ্দিন, হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব আশরাফ আলী নিজামপুরী, মাদ্রাসার শিক্ষা পরিচালক মুফতি কেফায়াতুল্লাহ ও জুলাইয়ের আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
আলোচনা শেষে মুফতি জসিম উদ্দিন মোনাজাত করেন এবং তার লিখিত কিছু বই নাহিদকে উপহার দেন।
এমআর/টিকে