রাজধানীর মাইলস্টোন কলেজে একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় উত্তরার হাসপাতালগুলোতে অনেক শিক্ষার্থীকেই প্রাথমিকভাবে নিয়ে যাওয়া হয়। তেমনই উত্তরার মনসুর আলি মেডিকেল কলেজেও অনেক শিক্ষার্থীকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে, করা হয়েছে ভর্তি।
বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা শুনেই দ্রুত রক্ত দিতে হাসপাতালে ছুটে যান নির্মাতা তপু খান ও অভিনেতা রাশেদ সীমান্ত। রাশেদ সীমান্ত এ সময় একটি লাইভ ভিডিওতে এসে তিনি উৎসুক জনতার উদ্দেশ্যে আহবান জানান যেন, উত্তরার ওইসব রাস্তায় পরিহার করেন তারা।
লাইভে রাশেদ বলেন, আপনারা উত্তরার এইসব রাস্তা পরিহার করুন। ব্যক্তিগত গাড়ি আনবেন না। আর যারা সহযোগিতা করতে আসবেন, শুধু তারাই আসবেন। আশার কথা হলো, অনেকেই রক্ত দিতে চলে এসেছে।
আমাদের নির্মাতা তপু খানও রক্ত দিতে চলে আসছেন। দয়া করে কেউ পরিস্থিতি দেখার জন্য এখানে আসেন না। আপনারা এদিকে দয়া করে এইদিকে আইসেন না। আপনি আসা মানে একটা শিশুর চিকিৎসাতে দেরি হওয়া, তাদের আসার পথে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা।
রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা দলবল নিয়ে হাসপাতালে আইসেন না। আপনি একা আসেন। আপনার কারণে যেন রাস্তাঘাট বন্ধ না হয়ে যায়। আপনি রাজনীতি লাশ নিয়ে কইরেন না। আল্লাহর দোহাই লাগে।
এই মুহূর্তে আপনারা রাজনীতিটা বন্ধ করেন। আমি রাজনৈতিক দলের লোকজন দেখে এই লাইভটা করলাম। আপনি, আপনার নেতাকর্মীরা সেলফি তোলার জন্য আইসেন না। আপনি খুনি, যদি আপনি আসেন। আপনার লোকজন নিয়ে এসে এখানে শো অফ করবেন তাঁর মানে আপনি খুনি।
কথা বলতে বলতেই কেঁদে ফেললেন রাশেদ সীমান্ত।
এ সময় নির্মাতা তপু খান বলেন, এটা শুধু রাশেদ ভাইয়ের কথা না। এখানে যারা সাধারণ মানুষ আছে, তারা আমাদেরকে বলছে, এ কারণেই আমরা লাইভটা করছি। সবাই আসলে এখানে দলবল নিয়ে আসছে, এ কারণে আমাদের সাহায্য করতে সমস্যা হচ্ছে।
রাশেদ সীমান্ত বলেন, সবাই আমাকে ধরেছে যেন আমি লাইভটা করি, সবাইকে আমাকে অনুরোধ করেছে। নাহলে আমি লাইভটা করতাম না।
রাজধানীর দিয়াবাড়ী এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভেতরে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনা তদন্তে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৯ জন মারা গেছে। যার মধ্যে অধিকাংশই শিশু শিক্ষার্থী।
এমকে/এসএন