২০১৮ সালে ভারতে ঝড় তুলেছিল ‘মিটু’ আন্দোলন। বহু তারকার মুখোশ খুলে গিয়েছিল তখন। সেই সময় আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন বলিউড অভিনেত্রী তনুশ্রী দত্ত। অভিনেতা নানা পটেকরের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনে একপ্রকার বলিউডকেই নাড়িয়ে দিয়েছিলেন তিনি।
কিন্তু সেই অভিযোগ তদন্তে গিয়ে পর্যাপ্ত প্রমাণ না মেলায় মামলা বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘদিন দেশ ছেড়ে বিদেশে কাটিয়ে আবার তিনি ফিরেছেন ভারতে। কিন্তু এবারও থেমে থাকেননি। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে কাঁদতে কাঁদতে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন তনুশ্রী। আর সেই ভিডিওতেই ফের হেনস্থার অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
ভিডিওতে তনুশ্রী জানান, “আমাকে নিজের বাড়িতেই হেনস্থা করা হচ্ছে। সেই ২০১৮ সাল থেকে শুরু, আজও চলছে। শরীর খারাপ, বাড়িতে কেউ নেই। একাই সব সামলাতে হচ্ছে। পুলিশকে ফোন করেছিলাম, তারা থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছে। হয়তো কালই যাব অভিযোগ জানাতে। কেউ দয়া করে আমাকে সাহায্য করুন।”
তাঁর এই আর্তি শোনার পর নেটদুনিয়ায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কেউ তাঁকে সাহস জুগিয়েছেন, কেউ বা আবার পুরো বিষয়টি নিয়ে ধোঁয়াশায়। কারণ, বাড়িতে তাঁকে কে বা কারা হেনস্থা করছে সে বিষয়ে তিনি খোলসা করেননি।
তবে অনেকের মতে, এই সমস্যার শিকড় আরও গভীরে। ২০০৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘হর্ন ওকে প্লিজ’ সিনেমার একটি গানের দৃশ্য থেকেই এই বিতর্কের সূত্রপাত। সেই গানে তনুশ্রীর একাই পারফর্ম করার কথা থাকলেও পরে যোগ করা হয় নানা পটেকরকে। শুটিং চলাকালীন নানা নাকি শারীরিকভাবে ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টা করেন। অভিযোগ ছিল, নাচ শেখানোর নাম করে তিনি তনুশ্রীকে হেনস্থা করেন।
এই প্রসঙ্গে নানা পটেকর বহুবার বলেছেন, “এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি জানতাম সত্যি কোথায়, তাই কখনও মাথা গরম করিনি। বহু পুরনো বিষয় এগুলো, এগুলো নিয়ে আর কিছু বলার নেই।”
যদিও বহুদিন পর আবারও ভিডিওর মাধ্যমে সামনে এসে তনুশ্রীর এমন দাবি নিঃসন্দেহে বলিউডে এক নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে—আসলে থেমে গেছে তো তনুশ্রীর যন্ত্রণা? নাকি সমাজ আর বিচারব্যবস্থার অদৃশ্য দেয়ালের ভেতরেই হারিয়ে যাচ্ছে এক নারীর লড়াই?
এসএন