বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও সাবেক এমপি নিলুফার চৌধুরী বলেছেন, এই জুলাইয়ে গোপালগঞ্জ থেকে যদি শুরু করি, কক্সবাজার আবার মাইলস্টোনের ঘটনাটায় যে রুদ্ধশ্বাস হলো— এটা অভিশাপ, দুর্ঘটনা, নাকি কোনো ষড়যন্ত্র, আমি ঠিক জানি না। যে বাচ্চাগুলো ছুটির ঘণ্টা পড়ার আগেই তাদের জীবন থেকে ছুটি নিতে হলো, এমন বাংলাদেশ আসলেই আমরা প্রত্যাশা করিনি।
সম্প্রতি এক টেলিভিশন টকশোতে তিনি এসব কথা বলেন।
নিলুফার বলেন, অনেক রকম কথা অনেকভাবে বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে।
আমি চাই বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে শান্তি আসুক। সেটার জন্য প্রমাণ হোক, আসলে কি হয়েছিল, কি ঘটেছিল। এটা আমরা যতটা না বলতে পারবো, এটার সঙ্গে রিলেটেড ব্যক্তিরা তার চেয়ে বেশি পারবে। তারা যেন সত্যি ঘটনাটাই উন্মোচিত করে।
তিনি বলেন, নিহতের সংখ্যা নিয়ে লুকোচুরি চলছে। এটা এমন না যে, গত বছরের জুলাইয়ে কতজন মারা গেছে এখন পর্যন্ত কেউ বলতে পারে না। কেউ ২ হাজার, কেউ ১৪০০, আবার কেউ বলে দেড় হাজার, যদিও সরকারি হিসেবে এসেছে ৮৪০ জন।
সব বাবা-মা চান মৃত অবস্থায় হলেও তার সন্তানকে ফিরে পেতে, সন্তানের কবরটা দেখতে পারবেন উল্লেখ করে নিলুফার বলেন, বিদেশে আমাদের যে ভাই বোনেরা মারা যান, তাদের মরদেহটা ফেরত আনতে অনেক পরিবারের জায়গা জমি বিক্রি করতে হয়।
তারপরেও মরদেহটা ফেরত আনে। কারণ, তার সন্তান, তার স্বামী, তার বাবা, তাকে কবর ছুঁয়ে বছরে বছরে দেখবে, সময় অসময়ে দেখবে এবং শেষ বিদায়টা যেন সুন্দর মতো হয়।
তিনি আরো বলেন, এই যে মা-বাবারা যারা এখন বসে আছেন, এখন পর্যন্ত তার সন্তান ফিরে আসেনি। ওখান থেকে, ওইটুকের মধ্যে তো সন্তান হাওয়া হয়ে যেতে পারে না। এই জায়গাটায় আমি সরকারকে অনুরোধ করব সরকার এবং আইএসপিআর এর মাধ্যমে প্রত্যেকটা মা-বাবা যেন অন্তত ওই শান্তিটুকু পান যে আমার সন্তান চলে গেছে, কিন্তু আমি তাকে ছুঁয়ে দেখতে পেরেছি।
এমআর/এসএন