চিরকাল স্পষ্টবাদী, নির্ভীক এবং নারীবাদী চিন্তাভাবনার জন্য পরিচিত রিচা চড্ডা ফের মুখ খুললেন নারীর স্বাধীনতা ও সমাজের গড়ে তোলা পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতার বিরুদ্ধে। সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে শৈশবের একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি জানালেন, কীভাবে ছোট থেকেই তাঁর ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল "সংসার করাই নারীর একমাত্র সাফল্য"—এই ধারণা।
অভিনেত্রীর কথায়, “আমি তখন শিশু, বিছানার ওপর লাফাচ্ছিলাম। তখন বাড়িতে এসেছিলেন আমার দিদিমা। তিনি বললেন, ‘এইভাবে লাফালে কেউ তোমাকে বিয়ে করবে না। শ্বশুরবাড়ি গিয়ে কিন্তু এসব চলবে না।’ আমি তখন সাত-আট বছরের শিশু। কিছুই বুঝতে পারিনি। মনে হয়েছিল, উনি কি পাগল?”
এই কথাগুলি ছোট্ট রিচার মনে গভীর ছাপ ফেলেছিল। তখন না বুঝলেও পরে তাঁর মা তাঁকে বুঝিয়েছিলেন দিদিমার মানসিকতার পেছনের কারণ। রিচা জানান, “আমার দিদিমার জন্ম ১৯২০ সালে। মাত্র ১৩ বছর বয়সে তাঁর বিয়ে হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই তিনি এমন কথা বলতেন।”
এই কথাগুলোর মধ্যে লুকিয়ে থাকা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে চলে আসা সামাজিক গড়নকে তুলে ধরেছেন রিচা। যেখানে মেয়েদের জীবনের মাপকাঠি ঠিক করে দেওয়া হয় খুব ছোট বয়স থেকেই। যেখানে দৌড়ানো, লাফানো, খুশিতে মেতে উঠার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে ‘বিয়ের যোগ্যতা’।
আজকের দিনে দাঁড়িয়ে এই অভিজ্ঞতা শেয়ার করে রিচা বোঝাতে চেয়েছেন—এই চক্রটিকে ভাঙতে হলে শুরু করতে হবে ঘর থেকেই। আর সেখানেই অভিনেত্রীর দৃঢ় অবস্থান প্রশংসিত হচ্ছে সমাজজুড়ে।
এসএন