১২৩ বছরে সবচেয়ে দীর্ঘ সূর্যগ্রহণ, পৃথিবীর আকাশে দেখা দেবে অন্ধকার

প্রায় ৬ মিনিট ২৩ সেকেন্ড পর্যন্ত স্থায়ী হবে সূর্যগ্রহণ! বিরল এবং দীর্ঘতম এই পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে ইউরোপ, উত্তর আফ্রিকা এবং মধ্যপ্রাচ্যের কিছু অংশে। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন মতে, এটি ১৯৯১ থেকে ২১১৪ সালের মধ্যে ভূমি থেকে দৃশ্যমান দীর্ঘতম পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের মধ্যে একটি। বলা হচ্ছে, শতাব্দীর এই উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে ২০২৭ সালের ২ আগস্ট।

২০২৭ সালের পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ একটি বিরল ঘটনা। এখানে সূর্য সম্পূর্ণরূপে চাঁদের পেছনে অদৃশ্য হয়ে যাবে। যার ফলে একটি মুহূর্ত তৈরি হবে যা ‘টোটালিটি’ নামে পরিচিত। চাঁদ সূর্যের আলোকে বাধাগ্রস্ত করার সাথে সাথে, টোটালিটির একটি রেখা ধীরে ধীরে বিশ্বজুড়ে সরে যাবে। যা দিনের আকাশে অল্প সময়ের জন্য অন্ধকার আনবে।

এই ঘটনা দক্ষিণ ইউরোপ এবং উত্তর আফ্রিকার কিছু অংশজুড়ে হবে, যেখানে প্রায় ৮৯ মিলিয়ন মানুষ বাস করে।

নাসার তথ্যমতে, সূর্যগ্রহণ ১০ সেকেন্ড থেকে প্রায় সাড়ে ৭ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হয়, তবে দীর্ঘ সূর্যগ্রহণ তুলনামূলকভাবে বিরল। ২০২৭ সালের আগস্টের সূর্যগ্রহণটি ৬ মিনিট ২৩ সেকেন্ড দীর্ঘ হবে, যা এটিকে অনন্য এবং বিশেষ করে তুলেছে।

স্পেস ডট কম জানিয়েছে, এই সূর্যগ্রহণটি ১৯৯১ থেকে ২১১৪ সাল পর্যন্ত ভূমি থেকে দৃশ্যমান দীর্ঘতম গ্রহণ।

কোথা থেকে দেখা যাবে?

ঘটনাটি মরক্কো, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া, লিবিয়া, মিশর, সুদান, সৌদি আরব, ইয়েমেন এবং সোমালিয়ার মতো দেশগুলোতে দৃশ্যমান হবে। রয়েল মিউজিয়ামস গ্রিনউইচের সিনিয়র জ্যোতির্বিজ্ঞানী গ্রেগ ব্রাউনের মতে, এই গ্রহণটি চিত্তাকর্ষক ছয় মিনিট স্থায়ী হবে, যা এই ধরনের মহাজাগতিক ঘটনার জন্য ব্যতিক্রমী দীর্ঘ।

তিনি আরও বলেন, ‘এটি সর্বনিম্ন মাত্র কয়েক সেকেন্ড থেকে সর্বোচ্চ ৭.৫ মিনিট পর্যন্ত পরিবর্তিত হয়। এই পরিবর্তনের কারণ হলো চাঁদ এবং সূর্যের আপাত আকারের তারতম্য। কারণ চাঁদ পৃথিবীর চারপাশে এবং পৃথিবীর সূর্যের চারপাশে কক্ষপথে পৃথিবী থেকে তাদের দূরত্ব সামান্য পরিবর্তিত হয়।’

সূর্যগ্রহণ কী?

যখন চাঁদ পৃথিবী এবং সূর্যের মাঝখানে সরাসরি চলে আসে, তখন সূর্যগ্রহণ ঘটে, যা সূর্যের আলোর আংশিক বা সম্পূর্ণ অংশকে আটকে দেয়। এটি কেবল অমাবস্যার সময় ঘটতে পারে, যখন চাঁদ পৃথিবী এবং সূর্যের মাঝখানে থাকে। সূর্যগ্রহণ তুলনামূলকভাবে বিরল কারণ চাঁদের কক্ষপথ হেলে থাকে, তাই এটি সাধারণত আকাশে সূর্যের উপরে বা নিচে যায়।

এফপি/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
কিংবদন্তী রেসলার হাল্ক হোগান আর নেই Jul 25, 2025
img
প্রেমে রাজি না হওয়ায় স্কুলছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ Jul 25, 2025
img
খায়রুল হক এজলাসে হাসলেন, বিচারক বললেন এ গ্রেপ্তারে অনেক কিছু শেখার আছে Jul 25, 2025
img
মহড়া দিয়েই নজর কাড়ল চীনের জে-৩৫, আমেরিকার জন্য দুঃসংবাদ! Jul 25, 2025
img
‘দেশের মুসলমানদের নিয়ে আর জঙ্গি নাটক খেলার সুযোগ দেয়া হবে না’ Jul 25, 2025
img
বাংলাদেশের হত্যা মামলার পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করল দুবাই পুলিশ Jul 25, 2025
img
যত চেষ্টা করুন নির্বাচন বানচাল করতে পারবেন না : মুশফিকুর রহমান Jul 25, 2025
img
রিজার্ভ বেড়ে আবারও ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল Jul 25, 2025
img
‘এবারের নির্বাচনে ইসলামের পক্ষে একটা বাক্স পাঠানোর চেষ্টা করছি’ Jul 25, 2025
img
জেলেনস্কির সঙ্গে যে শর্তে আলোচনায় বসবেন পুতিন Jul 25, 2025
img
‘জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় স্থাপন বাংলাদেশের স্বার্থেই করা হয়েছে’ Jul 25, 2025
img
মৃত্যুর গুজব উড়িয়ে সেফুদা বললেন, আগের চেয়ে ২০ বছর বয়স কমে গেছে Jul 25, 2025
img
গাইবান্ধায় থানায় ঢুকে পুলিশের ওপর হামলা, ছুরিকাঘাতে আহত এএসআই Jul 25, 2025
img
মার্কিন নাগরিকত্বের কথা স্বীকার করে জয় বললেন, একটি বাড়ির মালিক তিনি Jul 25, 2025
img
কারাবন্দিদের সংশোধিত হওয়ার সুযোগ থাকতে হবে: ধর্ম উপদেষ্টা Jul 25, 2025
img
রাজস্ব আদায় বাড়াতে মাঠপর্যায়ে নজরদারির নির্দেশনা এনবিআর চেয়ারম্যানের Jul 25, 2025
img
জয়ার প্রশংসায় উজ্জ্বল পাওলি, নায়িকাদের আড্ডায় জমজমাট ‘বছরের বেস্ট’ Jul 25, 2025
img
সব কিছু ঠিকঠাক থেকেও কেন বার বার পিছিয়ে যাচ্ছে মাইকেল জ্যাকসনের বায়োপিক মুক্তির তারিখ? Jul 25, 2025
img
'প্রস্তুতি নিয়ে ভাবছি না, মেগা টুর্নামেন্টে এমন পিচ থাকে না', পাকিস্তান অধিনায়কের মন্তব্য Jul 25, 2025
img
দেশের বাজারে সোনার দাম কমল Jul 25, 2025