প্রেমে সাড়া না দেওয়ায় নেত্রকোণার বারহাট্টা উপজেলায় নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে রোববার (২০ জুলাই) অপহরণ করা হয়। পরদিন পরিবারের সদস্যরা গিয়ে উপজেলার গেরিয়া গ্রামের একটি কালভার্টের উপর থেকে তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল হাসান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, গত রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ওই ছাত্রী প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘরের বাইরে গেলে, আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা রিদয় খাঁন ও তার সঙ্গে থাকা দুই-তিনজন সহযোগী মেয়েটির গলায় ও মুখে গামছা পেঁচিয়ে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পরিবারের লোকজন তাকে খুঁজে পাননি। পরদিন ভোর চারটার দিকে ওই ছাত্রী তার দাদার মোবাইল ফোনে কল করে উদ্ধারের অনুরোধ জানায়। পরে পরিবারের সদস্যরা গিয়ে উপজেলার গেরিয়া গ্রামের একটি কালভার্টের উপর থেকে তাকে উদ্ধার করে।
ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে বারহাট্টা থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলায় উপজেলার চিরাম ইউনিয়নের জয়পতাক এলাকার নয়ন মিয়ার ছেলে মো. রিদয় খাঁনকে (২২) প্রধান আসামি করা হয়। এ ছাড়াও আরও দুইজনকে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রিদয় খাঁন ওই ছাত্রীর বাবার মোবাইল নম্বরে প্রায়ই অশালীন বার্তা পাঠাতেন এবং মেয়েটির সঙ্গে ফোনে কথা বলার চেষ্টা করতেন। বিষয়টি নিয়ে মেয়েটির বাবা তাকে সতর্ক করেন এবং এসব বন্ধ করতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রিদয় তাকে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাতে থাকে।
ভুক্তভোগীর ফুফু বলেন, আমার ভাতিজিকে ওরা অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছিল। উদ্ধার করার পর আমরা স্থানীয় ইউপি সদস্যকে বিষয়টি জানাই। তখন তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল ছিল। তবে পরদিন রাতে অবস্থার অবনতি হলে আমরা দ্রুত বারহাট্টা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। আমার ভাতিজির ওপর হওয়া এই অন্যায়ের সঠিক ও চূড়ান্ত বিচার চাই।
বারহাট্টা থানার ওসি কামরুল হাসান বলেন, ভুক্তভোগীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। ছাত্রীটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ইউটি/টিএ