থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে সামরিক দিক থেকে কারা প্রভাবশালী?

সীমান্ত উত্তেজনা তীব্র আকার ধারণ করেছে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে। বৃহস্পতিবার ভোরে দুই দেশের সেনাবাহিনী ভারী অস্ত্র ব্যবহার করে সরাসরি সংঘর্ষে জড়ায়। এতে প্রাণহানির খবরও এসেছে, আর সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সাধারণ মানুষ পালাতে শুরু করেছে।

এই উত্তেজনা ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে-দুই দেশের মধ্যে যদি পূর্ণমাত্রার যুদ্ধ শুরু হয়, তাহলে সামরিক শক্তিতে কে এগিয়ে থাকবে?

সামরিক বাজেট ও সেনা সংখ্যা:
আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের মতে, থাইল্যান্ড সামরিক দিক থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী। দেশটির সশস্ত্র বাহিনীতে রয়েছে প্রায় ৩.৬ লাখ সক্রিয় সদস্য এবং ২০২৪ সালে প্রতিরক্ষা বাজেট ছিল ৫.৭ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে, কম্বোডিয়ার সক্রিয় সামরিক সদস্য সংখ্যা প্রায় ১.২৪ লাখ এবং বাজেট মাত্র ১.৩ বিলিয়ন ডলার।

স্থলবাহিনী:
থাইল্যান্ডের কাছে রয়েছে ৪০০ যুদ্ধ ট্যাংক, ১২০০ এর বেশি সাঁজোয়া যান এবং প্রায় ২৬০০ কামান। তাদের সেনাবাহিনীর নিজস্ব ড্রোন, হেলিকপ্টার ও পরিবহন বিমানও রয়েছে।

কম্বোডিয়ার সেনাবাহিনী তুলনামূলক ছোট; মাত্র ৭৫ হাজার সেনা, ২০০+ ট্যাংক ও ৪৮০ কামান রয়েছে তাদের।

বিমানবাহিনী:
থাইল্যান্ডের বিমানবাহিনী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে আধুনিক বাহিনী হিসেবে বিবেচিত। তাদের কাছে ১১২টি যুদ্ধবিমান (এর মধ্যে ২৮টি এফ-১৬ এবং ১১টি সুইডিশ গ্রিপেন), ডজন ডজন হেলিকপ্টার ও ৪৬ হাজার সদস্য রয়েছে।

অন্যদিকে, কম্বোডিয়ার বিমানবাহিনীতে আছে মাত্র ১৫০০ সদস্য, ১০টি পরিবহন বিমান, ১০টি হেলিকপ্টার ও ১৬টি মাল্টিটাস্ক হেলিকপ্টার। তাদের কোনও যুদ্ধবিমান নেই।

নৌবাহিনী:
থাইল্যান্ডের নৌবাহিনীতে ৭০ হাজার সদস্য রয়েছে, রয়েছে একটি বিমানবাহী রণতরী, ৭টি ফ্রিগেট, ৬৮টি উপকূলীয় যুদ্ধজাহাজ ও ১৪টি ল্যান্ডিং ক্রাফট। মেরিন ইউনিট রয়েছে ২৩ হাজার সদস্যের।

কম্বোডিয়ার নৌবাহিনী মাত্র ২৮০০ সদস্যের, ১৩টি যুদ্ধজাহাজ ও একটি ল্যান্ডিং ক্রাফট রয়েছে।

সামগ্রিক বিশ্লেষণ:
যদিও কম্বোডিয়া একটি অভ্যন্তরীণ যুদ্ধ ও প্রতিরোধ বাহিনীর ইতিহাস থেকে শক্তি পেয়েছে, তবুও স্থল, জল ও আকাশ-তিন বাহিনীতেই থাইল্যান্ড অনেক এগিয়ে। আধুনিক অস্ত্র, প্রশিক্ষণ, বাজেট ও সদস্যসংখ্যায় তারা পরিষ্কারভাবে শ্রেষ্ঠত্ব রাখে।

এমকে/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
২০২৬ বিশ্বকাপে ইতিহাস গড়বেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো? Jul 26, 2025
img
মেহেরপুরে ফুটবল খেলা দেখতে গিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৩ Jul 26, 2025
img
৭১ নিয়ে জামায়াত আগে ক্ষমা চাক, তারপর বিএনপির সমালোচনা করুক : টুকু Jul 26, 2025
img
ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের কঠোর হুঁশিয়ারি দিলেন ট্রাম্প Jul 26, 2025
img
'আওয়ামী লীগ মানুষের ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে' Jul 26, 2025
img
চাঁদপুরে রিজভীর স্বাক্ষর জাল করে কমিটি বিলুপ্তির বিজ্ঞপ্তি Jul 26, 2025
img
'গোটা জাতি আগামীর নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে জামায়াতের দিকে তাকিয়ে আছে' Jul 26, 2025
img
৫ আগস্ট জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবি জোনায়েদ সাকির Jul 26, 2025
img
খুলনায় গ্রাহককে হাতুড়িপেটা, ইসলামী ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তা গ্রেপ্তার Jul 26, 2025
img
আসলে মোদির কোনো দম নেই: রাহুল গান্ধী Jul 26, 2025
img
ট্রাম্পকে জান্তাপ্রধানের চিঠির পর গোপনে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করল যুক্তরাষ্ট্র Jul 26, 2025
img
ভারতীয় পেসার ইয়াশ দয়ালের বিরুদ্ধে মাস না যেতেই ধর্ষণের দ্বিতীয় মামলা Jul 26, 2025
img
সমর্থকের সঙ্গে তর্কে জড়ানোর যে ব্যাখ্যা দিলেন নেইমার জুনিয়র Jul 26, 2025
img
ইউনাইটেড এফসির নতুন কোচ হলেন পিরলো Jul 26, 2025
img
ইউরোপা লিগ থেকে অবনমনের বিপক্ষে আপিল করেছে ক্রিস্টাল প্যালেস Jul 26, 2025
img
চাঁদপুরে পুলিশের অভিযানে আটক ৩১ জন Jul 26, 2025
হল নির্মাণে প্রসেনজিতের উদ্যোগে মুগ্ধ মমতা Jul 26, 2025
পরমাণু উত্তেজনায় ফের উত্তপ্ত ইরান-ইউরোপ কূটনৈতিক মঞ্চ Jul 26, 2025
১০ মিনিটে গোটা বিশ্বের সারাদিনের সর্বশেষ আলোচিত সব খবর Jul 26, 2025
img
চট্টগ্রামে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান বলে টিকটক বানাতে গিয়ে আটক ১২ জন Jul 26, 2025