খায়রুল হককে বিচারের আওতায় আনায় স্বস্তি ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের

সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হককে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার ঘটনায় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বাংলাদেশ ল'ইয়ার্স কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. জসিম উদ্দিন সরকার ও সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ।

শুক্রবার সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট ড. মো. হেলাল উদ্দিন স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, খায়রুল হককে গ্রেপ্তারে বিলম্ব হলেও এতদিন পরে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করায় জাতি স্বস্তি পেয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, খায়রুল হক ২০১০ সালের ১ অক্টোবর থেকে ২০১১ সালের ১৭ মে পর্যন্ত দেশের ১৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে ফ্যাসিবাদী হাসিনা সরকার দুইজন জ্যেষ্ঠ বিচারপতি— বিচারপতি এম এ মতিন ও বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমানকে ডিঙিয়ে খায়রুল হককে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল মামলার রায় প্রদানকারী হিসেবে খায়রুল হক রাজনৈতিকভাবে ব্যাপক সমালোচিত হন। আপিল বিভাগে থাকাকালে তিনি সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের রায় দেন, যার মধ্য দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত হয়।

দেশের গণতন্ত্র রক্ষার্থে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বহাল রাখতে দেশের বিশিষ্ট আইনবিদদের জোরালো আবেদন উপেক্ষা করে অবসরের এক সপ্তাহ আগে বিচারপতি খায়রুল হক এ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে 'অসাংবিধানিক' ঘোষণা করে রায় দেন। যার ফলে দেশে রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়। বিচার বিভাগের উচ্চপদে আসীন হয়ে এই রায়ের মাধ্যমে তিনি প্রধান বিচারপতির আসনকে কলঙ্কিত করেছেন।

এই রায়ের মাধ্যমে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা ফ্যাসিবাদী শাসন, শোষণ এবং বিরোধীদল নির্যাতন ও নিপীড়নে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে দুর্নীতি এবং মামলার রায় জালিয়াতির মতো অভিযোগে কয়েকটি মামলা চলমান রয়েছে।

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, বিচারবিভাগ মানুষের সবচেয়ে বড় আস্থার জায়গা। আর এই আস্থার জায়গাটাকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন খায়রুল হক, শুধুমাত্র তার রাজনৈতিক হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য।

জাতি এখন তার অপরাধের সুষ্ঠু বিচার এবং যথাযথ শাস্তি দেখতে চায় দাবি করে নেতৃবৃন্দ বলেন, আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করছি, যাতে ওই পদে বসে আর কেউ এ ধরনের কাজ করার সাহস না পায়

এসএন 

Share this news on:

সর্বশেষ

img
যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যেক নাগরিককে অন্তত ২ হাজার ডলার দেওয়ার ঘোষণা ট্রাম্পের Nov 10, 2025
img
জন্মদিনে ভিন্ন রূপে মুগ্ধতা ছড়ালেন চিত্রনায়িকা মিম Nov 10, 2025
img
চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে সব দলকে ঐকমত্যে আসার, এটা এক ধরনের ব্ল্যাকমেইল: ফখরুল Nov 10, 2025
img
ময়মনসিংহে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল দম্পতির Nov 10, 2025
img
মোহাম্মদ আমির ও মেন্ডিসকে দলে ভেড়াল সিলেট টাইটান্স Nov 10, 2025
img
প্রাথমিক শিক্ষকদের বেতন ২ গ্রেড উন্নীতের প্রস্তাব, বাড়তি ব্যয় ৮৩২ কোটি Nov 10, 2025
img
জাপানের পূর্ব উপকূলে শক্তিশালী ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা জারি Nov 10, 2025
img
উত্তরে শীতের আমেজ, পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা কমে ১৬ ডিগ্রিতে Nov 10, 2025
img
আ স ম রবের অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করতে আমি এসেছি : তানিয়া রব Nov 10, 2025
img
ইকুয়েডরে কারাগারে দাঙ্গা, প্রাণ হারালেন ৩১ জন Nov 10, 2025
img
মুন্সীগঞ্জে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে প্রাণ গেল এক জনের Nov 10, 2025
img
ধানের শীষে ভোট চাওয়ায় ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলেন জামায়াত প্রার্থীর Nov 10, 2025
img
ইসরায়েলের বিষয়ে নিজেদের শর্ত আরও কঠোর করল সৌদি আরব Nov 10, 2025
img
মুম্বাইয়ে নেহা কক্করের নাম করে বড় ধরনের প্রতারণার অভিযোগ Nov 10, 2025
img
শিক্ষকদের কর্মবিরতির দ্বিতীয় দিন আজ Nov 10, 2025
img
অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা অন্তর্বর্তী সরকারের লক্ষ্য: অর্থ উপদেষ্ট Nov 10, 2025
img
যুদ্ধবিরতি উপেক্ষা করে লেবাননে আবারও হামলা চালাল ইসরায়েল Nov 10, 2025
img

ভিডিও ভাইরাল

শেখ হাসিনাকে জিয়াউর রহমানের ‘স্ত্রী’ বলে বিতর্কে বিএনপি নেতা Nov 10, 2025
img
অক্টোবরে প্রায় ২০৭ কোটি টাকার চোরাচালান পণ্য জব্দ করেছে বিজিবি Nov 10, 2025
img
আজ মেঘলা থাকবে ঢাকার আকাশ, কমতে পারে তাপমাত্রা Nov 10, 2025