গত জুনে গুজরাটের রাজধানী আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনার চারদিন পরেই ভারতীয় বিমান পরিষেবা কোম্পানি এয়ার ইন্ডিয়ার কর্তৃপক্ষ বরাবর ছুটির আবেদন করেছিলেন সংস্থাটির ১১২ জন সিনিয়র- জুনিয়র বিমান চালক। আবেদনে এই পাইলটরা লিখেছিলেন, অসুস্থতার জন্য ছুটি চান তারা।
বৃহস্পতিবার ভারতের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভার অধিবেশনে এক প্রশ্নের উত্তরে এ তথ্য জানিয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় বেসামরিক বিমান চলাচল বিষয়ক মন্ত্রী মুরলীধর মোহল।
মন্ত্রী জানান, ছুটির জন্য আবেদনকারী পইলটদের মধ্যে ছিলেন ৫১ জন কমান্ডার (সিনিয়র পাইলট) এবং ৬১ জন ফ্লাইট অফিসার (জুনিয়র পাইলট)। দুর্ঘটনার পর মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ার কারণেই বিমানকর্মী ও পাইলটরা এমন ছুটির আবেদন করেছিলেন বলেও দাবি করেছেন তিনি।
“এই ঘটনা থেকেই বোঝা যায় পাইলট ও বিমানকর্মীদের জন্য মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা কতটা প্রয়োজন”, লোকসভা অধিবেশনে বলেন মুরলীধর মোহন।
মন্ত্রী আরও জানান, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিমান পরিষেবা সংস্থার জন্য একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। সেখানে মেডিক্যাল পরীক্ষার সময় পাইলট ও বিমানকর্মীদের মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত চিকিৎসার জন্য জরুরী ভিত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, গত ১২ জুন মেঘানিনগরের বিজে মেডিক্যাল কলেজের ক্যান্টিনের উপর ভেঙে পড়ে এআই ১৭১ বিমানটি। এতে নিহত হন ওই বিমানের প্রায় সব যাত্রীসহ ২৭৪ জন মানুষ।
প্রসঙ্গত, এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ হিসেবে জন্য বেশ নিরাপদ। ২০১১ সাল থেকে যাত্রা শুরুর পর এ যাবৎ এই বিমানটি এর আগে কোথাও দুর্ঘটনার কবলে পড়েনি। তার পরেও কীভাবে বিমানটি দুর্ঘটনার কবলে পরে তা নিয়ে ভারতে নানা মহলে নানা প্রশ্ন রয়েছে।
রই মধ্যে দুর্ঘটনার প্রাথনিক তদন্তে উঠে এসেছে বিমানের জ্বালানির দু’টি সুইচ সুইচ রান থেকে কাটঅফ হয়ে গিয়েছিল। এরফলেই কার্যত বন্ধ হয়ে যায় বিমানের ইঞ্জিন।
তবে ঠিক কীভাবে বিমানের সুইচ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল তা নিয়ে নানান প্রশ্ন রয়েছে। এরইমধ্যে দুর্ঘটনার পরেই একসঙ্গে বিমানের এতজন পাইলটের ছুটি নেওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই পাইলটদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
কেএন/এসএন