ফের রক্তাক্ত গাজা, একদিনেই প্রাণ গেল আরও ৮৯ জনের

শুক্রবার দিনভর ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর গোলাবর্ষণে ফিলিস্তিনের গাজার উপত্যকায় নিহত হয়েছেন অন্তত ৮৯ জন এবং আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৪৬৭ জন। শুক্রবার সন্ধ্যার পর এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সোমবারের পর ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫৯ হাজার ৬৭৬ জনে। এদের পাশাপাশি আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ৪৩ হাজার ৯৬৫ জন ফিলিস্তিনি।

’২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যার পাশাপাশি ২৫১ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় তারা।

হামাসের হামলার জবাব দিতে এবং জিম্মিদের মুক্ত করতে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। ১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে টানা অভিযান চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারী অন্যান্য দেশগুলোর চাপে বাধ্য হয়ে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ইসরায়েল।

কিন্তু বিরতির দু’মাস শেষ হওয়ার আগেই গত ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ। দ্বিতীয় দফার এ অভিযানে গত আড়াই মাসে গাজায় নিহত হয়েছেন ৮ হাজার ৫২৭ জন এবং আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৩১ হাজার ৯৩৪ জন ফিলিস্তিনি।

যে ২৫১ জন জিম্মিকে হামাসের যোদ্ধারা ধরে নিয়ে গিয়েছিল, তাদের মধ্যে অন্তত ৩৫ জন এখনও জীবিত আছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। সামরিক অভিযানের মাধ্যমে তাদের উদ্ধার করার ঘোষণা দিয়েছে আইডিএফ।

জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানিয়েছে। ইতোমধ্যে জাতিসংঘের আদালত নামে পরিচিত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার মামলাও দায়ের করা হয়েছে।

তবে নেতানিয়াহু স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, হামাসকে পুরোপুরি দুর্বল ও অকার্যকর করা এবং জিম্মিদের মুক্ত করা এই অভিযানের লক্ষ্য এবং লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অভিযান চলবে গাজায়।

সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি

এফপি

Share this news on:

সর্বশেষ

img
সাংবাদিকরা সত্য তুলে ধরলে বিভ্রান্তি দূর হবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Jul 26, 2025
img
দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বাংলাদেশের ত্রিদেশীয় সিরিজ শুরু Jul 26, 2025
img
আজীবন নিষেধাজ্ঞার মুখ থেকে রক্ষা পেলেন লুকাস পাকুয়েতা Jul 26, 2025
img
যে সরকারই আসুক কোরআনবিরোধী আইন করতে চাইলে মানুষ মেনে নেবে না : ধর্ম উপদেষ্টা Jul 26, 2025
img
শেখ হাসিনার দুঃশাসন অবসানের সূত্রপাত করেছে বিএনপি : হাফিজ উদ্দিন Jul 26, 2025
img
কয়েক দিনের মধ্যে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবেন প্রধান উপদেষ্টা : মোস্তফা জামাল Jul 26, 2025
img
ভালো বাবা হতে চান বরুণ, কিন্তু নাতাশার একটাই শর্ত Jul 26, 2025
img
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ‘আখ্যা’ দিয়ে ঢাবি ছাত্রদল কর্মীকে হয়রানির অভিযোগ Jul 26, 2025
img
জুলাই শহীদ পরিবারের সদস্যদের চাকরি দেওয়ার আহ্বান জামায়াত আমিরের Jul 26, 2025
img
এক ফ্রেমে সৃজিত-সুস্মিতা, প্রেম না বন্ধুত্ব? Jul 26, 2025
img
বাংলাদেশের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করল যুক্তরাষ্ট্র Jul 26, 2025
img
ঘোমটার ভুলে বউ বদল? আসছে ‘কনে দেখা আলো’ Jul 26, 2025
img
আমাদের মূর্খ বলা হয়েছে, কিন্তু আমি দস্তখত করতে জানি: চরমোনাই পীর Jul 26, 2025
img
ভারত থেকে গত এক মাসে ১৫০০ বাংলাদেশিকে পুশ-ইন : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Jul 26, 2025
img
পথেই বগি ফেলে চলে গেল কক্সবাজার এক্সপ্রেস Jul 26, 2025
img
চিত্রনাট্য নিয়ে রাতভর প্রস্তুতি শুরু শুভশ্রীর Jul 26, 2025
img
সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৭ ওমরাহযাত্রী Jul 26, 2025
থাইল্যান্ড-কাম্বোডিয়া উত্তেজনায় শান্তির ডাক Jul 26, 2025
মোহাম্মদপুর ও পুশব্যাক ইস্যু নিয়ে যা বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Jul 26, 2025
img
আয় বাড়াতে আরও ৩ জাহাজ কিনছে সরকার : সাখাওয়াত হোসেন Jul 26, 2025