সুনীল দর্শনের সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে ২০০৫ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বলিউড সিনেমা ‘বারসাত’ নিয়ে যে তথ্য উঠে এসেছে, তা ঘিরে নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে চলচ্চিত্র অঙ্গনে। দীর্ঘদিন ধরে ধারণা করা হচ্ছিল, সময়সূচি বা সৃজনশীল মতবিরোধের কারণেই এই সিনেমা থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন বলিউড সুপারস্টার অক্ষয় কুমার। কিন্তু পরিচালক দর্শনের ভাষ্যে উঠে এসেছে এক ভিন্ন সত্য।
পরিচালকের দাবি, ‘বারসাত’ সিনেমার শুরুর সময় থেকেই একটি জটিল ও বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। পরিকল্পনার স্তরে ছিল অস্পষ্টতা, ভুল তথ্য এবং প্রতিশ্রুতির নামে প্রতারণা। যদিও দর্শন সরাসরি কোনো ব্যক্তির নাম নেননি, তবে তিনি ইঙ্গিত করেছেন এক প্রকার ‘মিথ্যার জাল’ ও অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্রের কথা, যা সিনেমার প্রস্তুতির সময় থেকেই ছড়িয়ে পড়ছিল।
সুনীল দর্শন বলেন, অক্ষয় কুমার বুঝতে পারেন তিনি একপ্রকার ভুলভাবে পরিচালিত হচ্ছেন এবং তাকে প্রকৃত চিত্র না দেখিয়ে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। এমন অবস্থায় একজন পেশাদার অভিনেতার পক্ষে কাজ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল না। ফলে অক্ষয় বাধ্য হয়ে প্রকল্পটি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন।
পরবর্তীতে অক্ষয়ের বদলে সিনেমার প্রধান চরিত্রে যুক্ত হন ববি দেওল। সঙ্গে ছিলেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও বিপাশা বসু। যদিও সিনেমাটি মুক্তির পর বক্স অফিসে মিশ্র সাড়া পায়, তবে এবার দীর্ঘ বছর পর সিনেমার অন্তর্জগতের এই অজানা অধ্যায় সামনে আসায় তা আবার আলোচনায় উঠে এসেছে।
সিনেমা জগতে বিশ্বাস ও পেশাদারিত্বের যে সূক্ষ্ম ভারসাম্য থাকে, তা অনেক সময় প্রচারের আড়ালে হারিয়ে যায়। ‘বরসাত’ এর ঘটনা তারই একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ। এক দশকেরও বেশি সময় পরে এসে যখন একজন পরিচালক অতীতের এই তিক্ত অভিজ্ঞতা প্রকাশ করেন, তখন বোঝা যায়, চলচ্চিত্রের ঝলমলে রূপালি পর্দার আড়ালেও কতটা অস্থিরতা কাজ করে।
এমকে/টিএ