তুরস্কের সাবেক এমপির সঙ্গে জামায়াত আমিরের বৈঠক

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তুরস্কের সাবেক পার্লামেন্টারিয়ান মেম্বার অধ্যাপক ড. ইয়াসিন আকতাই। যিনি তুরস্কের সাবেক পার্লামেন্টারিয়ান মেম্বার, এরদোগানের সাবেক উপদেষ্টা এবং একে পার্টির সাবেক ডেপুটি চেয়ারম্যান।

শনিবার (২৬ জুলাই) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় শফিকুর রহমানের সঙ্গে দলের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল, কেন্দ্রীয় মিডিয়া ও প্রচার বিভাগের প্রধান এহসানুল মাহবুব জুবায়ের ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে শনিবার (২৬ জুলাই) বিকেলে চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে জুলাই বিপ্লবের শহীদদের সম্মানে স্মরণসভায় চব্বিশের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হওয়া প্রত্যেক পরিবারের সদস্যদের থেকে উপযুক্ত বিবেচনা করে চাকরি দেওয়ার আহ্বান জানান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘শহীদ পরিবারের জন্য যথাযথ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। এটা অনুকম্পা নয়, বরং তাদের প্রাপ্য অধিকার। পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় চাকরির মাধ্যমে তাদের জীবনমান নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের নৈতিক দায়িত্ব।’

জুলাই শহীদ পরিবারের সদস্যদের চাকরি দেওয়াকে কোটা বলতে নারাজ শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘এটার নাম কোটা নয়। কোটা হচ্ছে যুগ যুগ ধরে চৌদ্দগোষ্ঠীর কপালে যেটা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়, ওইটার নাম কোটা। এটি তারা আমাদের কাছে চাননি। এটা আমাদের কর্তব্য, তাদের হাতে এটি তুলে দিতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘জুলাই যোদ্ধারা না থাকলে আজ আমরা হয়তো কেরানীগঞ্জ কিংবা কাসেমপুরে বন্দি থাকতাম। তাদের অবদান কখনো ভুলে যাওয়া উচিত নয়।’

এ সময় জুলাই সনদের বাস্তবায়ন নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেন জামায়াত আমির। তিনি বলেন, ‘আজও জুলাই সনদ বাস্তবায়িত হয়নি, এটি দুঃখজনক। শহীদদের যথাযথ মর্যাদা দেওয়া হয়নি, এ নিয়ে আমরা অনুতপ্ত। ঐকমত্য কমিশনে আলোচনা চলছে, কিন্তু কার্যত কোনো অগ্রগতি নেই।’

শফিকুর রহমান বলেন, ‘জামায়াত জুলাই সনদ বাস্তবায়নে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। শহীদ পরিবারগুলোর পাশে থাকার অঙ্গীকারে আমরা ওয়াদাবদ্ধ। প্রয়োজন হলে তাদের সম্মানের জীবন নিশ্চিত করতে ভিক্ষাও করব। কিন্তু ন্যায়বিচার ও পুনর্বাসনে ছাড় দেব না।’

ইউটি/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
স্কোয়াড হালকা করতে একাধিক বিক্রির পথে রিয়াল মাদ্রিদ Jul 27, 2025
img
বোয়িং থেকে ২৫ উড়োজাহাজ কিনবে সরকার : বাণিজ্য সচিব Jul 27, 2025
img
ব্যর্থতার দায় কেবল নায়িকাদের ওপর কেন, প্রশ্ন তুললেন শ্রুতি Jul 27, 2025
img
গণপূর্ত অধিদপ্তরের কাজের গতি বাড়াতে মন্ত্রণালয়ে ৪ নির্দেশনা জারি Jul 27, 2025
img
বগুড়ায় ট্রাক-অটোরিকশা সংঘর্ষে প্রাণ গেল ২ জনের Jul 27, 2025
img
দক্ষিণী সিনেমায় শক্ত অবস্থান গড়ে নিচ্ছেন জাহ্নবী Jul 27, 2025
img
জাতীয় দল নির্বাচনে নিয়ম ও পদ্ধতি থাকা উচিৎ : বিসিবি সভাপতি Jul 27, 2025
img
ময়মনসিংহে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মানহানির মামলা বাতিল: আপিল বিভাগ Jul 27, 2025
img
বৈরী আবহাওয়ায় সেন্ট মার্টিনে থেমে গেছে জনজীবন Jul 27, 2025
img
শুটিং শেষ ‘বর্ডার ২’-এর,আবেগে ভাসলেন দিলজিৎ দোসাঞ্জ Jul 27, 2025
img
চাঁদাবাজির ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী নেতা রিয়াদসহ ৪ জনের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন Jul 27, 2025
img
বিএনপির ১ বছরে আয় বেড়েছে সাড়ে ১৪ কোটি টাকা Jul 27, 2025
img
লিটনদের ছক্কা হাঁকানো শেখাতে ঢাকায় আসছেন জুলিয়ান উড Jul 27, 2025
img
শাহরুখ-আমিরদের পেছনে ফেলে আইএমডিবির শীর্ষে আহান পান্ডে Jul 27, 2025
img
এখনকার তুলনায় ২০-২৫ বছর আগে ব্যাটিং দ্বিগুণ কঠিন ছিল: পিটারসেন Jul 27, 2025
img
মার্কিন শুল্ক ইস্যুতে সোমবার যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা Jul 27, 2025
img
সালার ২: প্রভাসের বিপরীতে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বীর প্রত্যাবর্তন Jul 27, 2025
img
শিক্ষক-ছাত্রীর স্মৃতিতেই ধরা পড়ল বিনোদনের এক অন্য গল্প Jul 27, 2025
খামেনির হুঁশিয়ারি: শত্রুর আঘাতেই বেগবান হবে তেহরান Jul 27, 2025
সব সম্পদ দিয়েও কেনা যাবে না প্রসিকিউশন টিমকেঃ তাজুল ইসলাম Jul 27, 2025