মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে লিওনেল মেসিকে ছাড়াই এফসি সিনসিনাটির বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল ইন্টার মায়ামি। কিন্তু আক্রমণ পাল্টা আক্রমণের ম্যাচে গোলশূন্য ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে মায়ামি। রোববার (২৭ জুলাই) ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়।
অল-স্টার গেমে অংশ না নেয়ায় দলের সেরা তারকা মেসি ও তার সতীর্থ জর্দি আলবাকে এক ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করে এমএলএস কর্তৃপক্ষ। তবে নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও মেসি উপস্থিত ছিলেন চেজ স্টেডিয়ামের একটি স্যুইটে বসে।
ম্যাচে দু’দলই গোলের দেখা না পেলেও নাটকীয়তা ছিল যথেষ্ট। স্টপেজ টাইমে সিনসিনাটির ডিফেন্ডার মাইলস রবিনসনের একটি হেড গোল বাতিল হয়ে যায় ফাউলের কারণে। ম্যাচজুড়ে মায়ামির অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেজ দুর্দান্ত কিছু পাস দেন, যার একটি ফাফা পিকল্টের হেডে রূপ নেয়, কিন্তু সেটিও ঠেকিয়ে দেন সিনসিনাটির গোলকিপার রোমান সেলেনতানো।
ম্যাচ শুরুর আগে ইন্টার মায়ামি তাদের নতুন তারকা, আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার রদ্রিগো ডি পলকে পরিচয় করিয়ে দেয়। মেসির জাতীয় দলের সতীর্থ ও ঘনিষ্ঠ বন্ধু ডে পল শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে ক্লাবে যোগ দেন। তাকে দেখে গ্যালারিভর্তি দর্শক করতালিতে ভাসিয়ে দেন। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ডি পল বলেন, আমি আমার সবটুকু উজাড় করে দেব।
এই ড্র’র ফলে সাপোর্টার্স’ শিল্ডের পয়েন্ট তালিকায় সিনসিনাটি ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় এবং মায়ামি ৪২ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে।
মেসির নিষেধাজ্ঞাকে ইন্টার মায়ামির সহ-মালিক হোর্হে মাস এই সিদ্ধান্তকে ‘অত্যন্ত কঠোর’ বলে উল্লেখ করে জানান, মেসি এতে ‘চরমভাবে হতাশ’ হয়েছেন। দলটি বর্তমানে তাদের টানা দ্বিতীয় সাপোর্টার্স’ শিল্ড জয়ের লড়াইয়ে রয়েছে, এমন সময়ে মেসিকে হারানো বড় ধাক্কা বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
ম্যাচ শেষে মায়ামির কোচ হাভিয়ের মাসচেরানোও শাস্তির যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, ‘যদি ম্যাচটি অ্যাওয়ে হতো, তখনও কি এমন শাস্তি হতো?’ তিনি আরও বলেন, ‘স্টেডিয়াম ভরাতে ও টিকিট বিক্রি করতে তো সবাই মেসির ওপর নির্ভর করে, তখন তো কেউ কিছু বলে না। এখন একটা ম্যাচ মিস করলেই শাস্তি!’
মাসচেরানো জানান, ক্লাবটি আগেই এমএলএসকে জানিয়েছিল যে মেসি ক্লান্তিতে ভুগছেন, কারণ দলটিকে টানা ম্যাচ খেলতে হচ্ছে। একদিন একটা কথা বলে, পরদিন আরেকটা মেসির এত ম্যাচ খেলার বিষয়টা তো তারাও মেনে নিয়েছিল, যোগ করেন তিনি।
কেএন/টিকে