ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুহতারাম আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলছেন, ৫ আগস্টের পর সুন্দর একটি দেশ গঠন করার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। নিশ্চয় আপনারা বোঝেন বিগত দিনে নিজের স্বার্থে, দলের স্বার্থে, দেশকে অগ্রাধিকার না দিয়ে যা করার তাই করেছে। বাংলাদেশের সংবিধান এক প্রকার বলা যায় ছেড়া। ছোট্র একটা পুস্তিকার মত নিজের স্বার্থে তৈরি করা হয়েছিল। যার যখন মন চাইছে তখনই তারা ওই ভাবে সংবিধান পরিবর্তন করেছে। তাদের একটা নীতি রয়েছে এত সিট থাকলে সংবিধান পরিবর্তন করতে পারবে। এখন সংবিধান যেন ইচ্ছা করলেই নিজ এবং দলের স্বার্থে তৈরি করতে না পারে। এখন কিন্তু সুযোগ এসেছে নির্বাচন যে পদ্ধিতিতে ছিল তার পরিবর্তন করা। সেই নির্বাচন পরিবর্তন পদ্ধিতি হল পিআর পদ্ধিতি। পিআর পদ্ধিতিতে ভোটে প্রতিটি ভোটারের মূল্যায়ন হবে। বারবার ইচ্ছা করলেই এই ফ্যাসিস্ট চরিত্র এককভাবে একক সংখ্যাগরিষ্ঠ নিয়ে সংসদে যেতে পারবে না। আপনারা পিআর পদ্ধিতি বোঝেন না তাহলে রাজনীতি করতে আসছেন কেন? আপনাদের রাজনীতি করার অধিকার বাংলার মাটিতে থাকতেই পারে না। আপনি বোঝেনই না, খায় না মাথায় দেয়। আসলে বোঝেন সবই, কিন্তু মূল ব্যাপার হল এ পদ্ধিতিতে নির্বাচন হলে এদেশের টাকা বিদেশে পাচার করে বাড়ি তৈরি করা যায় না।
রাষ্ট্রসংস্কার, গণহত্যার বিচার, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন, দেশ ও ইসলাম বিরোধী সকল ষড়যন্ত্র চক্রান্তের প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গায় ইসলামী আন্দোলনের গণসমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
সোমবার (২৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫ টায় চুয়াডাঙ্গা টাউন ফুটবল মাঠে বাংলাদেশ ইসলামী আন্দোলন চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার আয়োজনে এ গণসমাবেশের আয়োজন করে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সভাপতি হাসানুজ্জামান সজিবের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি মোস্তফা কামাল ও চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াতের আমির রুহুল আমিন।
গণসমাবেশ সঞ্চালনা করেন ইসলামী আন্দোলন চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার সেক্রেটারী মুহাম্মাদ তুষার ইমরান সরকার। গণসমাবেশে ইসলামী আন্দোলন চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পিএ/টিএ