প্রথমে কোচিংয়ে ইচ্ছে প্রকাশ করলেও পরবর্তীতে আবারও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে নিজের আগ্রহের কথা জানান ব্রেন্ডন টেলর। আইসিসির দুর্নীতিবিরোধী আইন লঙ্ঘনের দায়ে সাড়ে তিন বছর নিষিদ্ধ হওয়া ডানহাতি উইকেটকিপারের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে ২৫ জুলাই। শাস্তি শেষ হওয়ায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্ট দিয়ে জিম্বাবুয়ে দলে ফিরতে যাচ্ছেন টেলর।
২০১৯ সালের অক্টোবরে স্পন্সরশিপ ও জিম্বাবুয়েতে একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট চালু করতে আলোচনা করার জন্য টেলরকে ভারতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন এক ব্যবসায়ী। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে ভারতে গিয়েছিলেন জিম্বাবুয়ের এই ক্রিকেটার। ভারতে যাওয়ার পর ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১৫ হাজার মার্কিন ডলার, একটি স্যামসাং এস-১০ মডেলের ফোন ও নতুন কাপড়চোপড় নিয়েছিলেন তিনি।
পাশাপাশি দুর্নীতির প্রস্তাবও পেয়েছিলেন টেলর। তবে সেই প্রস্তাবের কথা আইসিসিকে জানাতে দেরি করেছিলেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ২০২১ সালে অবসর নেয়ার চার মাস পর সব ধরনের ক্রিকেট থেকে সাড়ে তিন বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। এ ছাড়া আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের সময় কোকেন নেয়ায় টেস্টে পজিটিভ হয়ে ৬ মাস নিষিদ্ধ হয়েছিলেন। যদিও সেই নিষেধাজ্ঞা সাড়ে তিন বছরের মধ্যেই ছিল।
আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, কোনো ক্রিকেটার নিষিদ্ধ হলে স্বীকৃত ক্রিকেট খেলতে পারেন না বা ঘরোয়া কিংবা আন্তর্জাতিক দলের সঙ্গে অনুশীলন করতে পারেন না। এজন্য হারারের একটি স্কুলের সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগিয়ে নিজেকে প্রস্তুত করেছেন। চলতি মাসের ২৫ জুলাই নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় ক্রিকেটে ফিরতে বাধা থাকছে না তাঁর। ক্রেইগ আরভিন নিশ্চিত করেছেন, দ্বিতীয় টেস্টের জন্য অ্যাভেইলএবল আছেন টেলর।
এ প্রসঙ্গে জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক বলেন, ‘দ্বিতীয় টেস্টের জন্য সে অবশ্যই অ্যাভেইলএবল আছে। কিন্তু আমি জানি নিজের চেষ্টায় সে কতটা কঠোর পরিশ্রম করেছে। বিশেষ করে সবশেষ ৮, ১০ কিংবা ১২ মাসে তারপরই এটা হয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে তাকে ফিরে পেতে আমি রোমাঞ্চিত হয়ে আছি এবং অপেক্ষায় আছি সে দলের জন্য কতটা অবদান রাখতে পারে।’
টেস্ট ক্যারিয়ারে বেশিরভাগ সময়ই চার নম্বরে ব্যাটিং করেছেন টেলর। জিম্বাবুয়ের হয়ে ৩৪ টেস্ট খেলা ডানহাতি উইকেটকিপার ব্যাটার ফিরলে ব্যাটিং অর্ডারে একটা পরিবর্তন আসতে পারে।
উইকেটকিপার ব্যাটার তাফাদজাওয়া সিগা পাঁচে নেমে যেতে পারেন। যার ফলে শন উইলিয়ামসকে ব্যাটিং করতে হতে পারে ছয় নম্বরে। এটা করলে অবশ্য জিম্বাবুয়ের ব্যাটিং ইউনিটের গভীরতা বাড়বে।
এমকে/টিএ