কোনোভাবে সেনাবাহিনীকে ক্ষমতা দেবো না, এটি প্রথম থেকেই স্পষ্ট ছিল: নাহিদ ইসলাম

কোনোভাবে সেনাবাহিনী বা সেনাবাহিনী সমর্থিত কোনো গ্রুপের কাছে ক্ষমতা না দেওয়ার বিষয়ে প্রথম থেকেই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতাদের মধ্যে স্পষ্ট অবস্থান ছিল বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।


বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে জুলাই অভ্যুত্থান পরবর্তী জাতীয় সরকার, নতুন সংবিধান ও নানারকম ঢালাও প্রচারণাসহ বিভিন্ন বিষয়ের অবতারণা করেন এনসিপির এ শীর্ষ নেতা।


নাহিদ ইসলাম বলেন, ২ আগস্ট, ২০২৪ রাতে জুলকারনাইন সায়েররা (প্রবাসী অনুসন্ধানী সাংবাদিক) একটা আর্মি ক্যু করে সামরিক বাহিনীর এক অংশের হাতে ক্ষমতা দিতে চেয়েছিল। এ উদ্দেশে কথিত সেইফ হাউজে থাকা ছাত্র সমন্বয়কদের চাপ প্রয়োগ করা হয়, থ্রেট করা হয়। যেন সে রাতে ফেসবুকে তারা সরকার পতনের একদফা ঘোষণা করে আর আমাদের সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ না রাখে। রিফাতদের বিভিন্ন লেখায় এ বিষয়ে বলা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের বক্তব্য ছিল একদফার ঘোষণা মাঠ থেকে জনগণের মধ্য থেকে দিতে হবে। আর যারা এভাবে চাপ প্রয়োগ করছে তাদের উদ্দেশ্য সন্দেহজনক। আমাদের ভেতর প্রথম থেকে এটা স্পষ্ট ছিল যে, ক্ষমতা কোনোভাবে সেনাবাহিনী বা সেনাবাহিনী সমর্থিত কোনো গ্রুপের কাছে দেওয়া যাবে না। এতে আরেকটা এক-এগারো হবে এবং আওয়ামী লীগ ফিরে আসার সুযোগ তৈরি হবে এবং আমাদের প্রতিরক্ষা বাহিনী ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

‘এটাকে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত গণঅভ্যুত্থান হিসেবে সফল করতে হবে এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে নিয়ে সামনে আগাতে হবে। ৫ আগস্ট থেকে আমরা এ অবস্থান ব্যক্ত করে গিয়েছি।’
জুলকারনাইন সায়েরের ভূমিকা বিষয়ে নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, সায়ের গং ৫ আগস্টের পর বারবার চেষ্টা করেছে আমাদের বিরুদ্ধে পাল্টা নেতৃত্ব দাঁড় করাতে। সেক্ষেত্রে সাদিক কায়েমদের (শিবির নেতা) ব্যবহার করেছে। এবং তারা ব্যবহৃতও হয়েছে। সায়ের গংদের এ চেষ্টা অব্যাহত আছে।

এনসিপির এ নেতা বলেন, কল রেকর্ড ফাঁস, সার্ভাইলেন্স, চরিত্রহনন, অপপ্রচার, প্রোপাগান্ডা হেন কোনো কাজ নাই হচ্ছে না। বাংলাদেশে সিটিং মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে যত অপপ্রচার হচ্ছে এদেশের ইতিহাসে এরকম কখনো হয়েছে কি না জানা নাই। কিন্তু মিথ্যার ওপর বেশিদিন টিকা যায় না। এরাও টিকবে না।

কেএন/এসএন

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ক্রিস হেমসওয়ার্থের সাথে জুটি বাঁধছেন লিলি জেমস, আসছে থ্রিলার সাবভারশন Aug 01, 2025
img
আমরা বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় অবস্থান ধরে রাখতে পেরেছি : খলিলুর রহমান Aug 01, 2025
img
বেইজিংয়ে বন্যায় বৃদ্ধাশ্রমে ৩১ জন প্রবীণের মৃত্যু Aug 01, 2025
img
বিচ্ছেদের ৩ মাসেই শ্রাবন্তীর প্রাক্তনের নতুন সিদ্ধান্ত Aug 01, 2025
img
ওভালে প্রথম দিন শেষে চাপে সফরকারী ভারত Aug 01, 2025
img
একদিনে এনবিআরের ৪৯ কর্মকর্তাকে বদলি Aug 01, 2025
img
ম্যান অব স্টিল–কে পেছনে ফেলে শীর্ষে গানের সুপারম্যান Aug 01, 2025
img
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ওপর নতুন করে শুল্ক আরোপ ট্রাম্পের Aug 01, 2025
img
জামায়াত আমিরের বাইপাস সার্জারি শনিবার Aug 01, 2025
img
বাংলাদেশের রাস্তায় নেচে ভাইরাল নোয়েল এবার ভারতে আটক Aug 01, 2025
img
সেপ্টেম্বরে কোয়াবের নির্বাচন, এবার থাকছে না সেক্রেটারি পদ Aug 01, 2025
img
দেশের ১২ অঞ্চলে বজ্রবৃষ্টিসহ দমকা হাওয়ার আভাস, নদীবন্দরে সতর্ক সংকেত Aug 01, 2025
img
৩০ কোটি টাকার ঋণ কেলেঙ্কারি,বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান বাচ্চুসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা Aug 01, 2025
img
বেলা দে রুপে পোস্টারে চমক দিলেন ঋতুপর্ণা Aug 01, 2025
img
পিআর নির্বাচন নিয়ে বিএনপিকে প্রশ্ন করলেন ইসলামী আন্দোলনের নেতা Aug 01, 2025
img
সাঙ্ক্রান্তিতে মুক্তি পাচ্ছে প্রভাসের হরর-কমেডি ‘রাজা সাব’ Aug 01, 2025
img
নেতানিয়াহুর দেশের সঙ্গে অস্ত্র বাণিজ্য বন্ধের ঘোষণা স্লোভেনিয়ার Aug 01, 2025
img
বাংলাদেশের ওপর থেকে ১৫ শতাংশ শুল্ক কমালো যুক্তরাষ্ট্র Aug 01, 2025
img
ডিসেম্বরের নির্বাচনকে ঘিরে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন মিয়ানমারে Aug 01, 2025
img
লুডু বোর্ড থেকে অনুপ্রাণিত পোশাকে নজর কাড়লেন কীর্তি সুরেশ Aug 01, 2025