পাকিস্তানের করাচিতে প্রয়াত অভিনেত্রী হুমায়রা আসগরের মৃত্যুর তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর নতুন তথ্য। ফরেনসিক রিপোর্টে জানা গেছে, তার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার করা সাদা পাউডারের মতো বস্তুগুলো মূলত ছিল সাগরের লবণ।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, হুমায়রার ফ্ল্যাট থেকে মোট ছয়টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়, যার মধ্যে পাঁচটি বাটি থেকে সংগৃহীত। পরীক্ষায় দেখা গেছে, এই বাটিগুলোর লবণ ছিল আয়োডাইজড নয়, বরং প্রাকৃতিক সাগরের লবণ। রান্নাঘরের লবণের সঙ্গে এর গঠনগত পার্থক্য রয়েছে।
তবে তদন্তকারীরা এখনো নিশ্চিত নন, এই সাগরের লবণ কোনো গন্ধ ঢাকতে, না কি ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হয়েছিল। পুলিশের ভাষ্যে, এসব উপাদান এখনো যথেষ্ট নয় হুমায়রার মৃত্যুর সঠিক কারণ নির্ধারণে। তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
এর আগেও, করাচির ডিএইচএ এলাকায় অবস্থিত হুমায়রার ফ্ল্যাট থেকে একাধিক রহস্যময় প্রমাণ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। গত ৮ জুলাই সেখান থেকেই অভিনেত্রীর নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়।
১৯৯২ সালের ১০ অক্টোবর, লাহোরে জন্মগ্রহণ করেন হুমায়রা আসগর। ছিলেন চিত্রশিল্পী, ভাস্কর, ফিটনেস উৎসাহী ও অভিনেত্রী। ন্যাশনাল কলেজ অফ আর্টস থেকে ফাইন আর্টস, টিভি ও ফিল্ম বিভাগে ডিগ্রি অর্জনের পর, পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.ফিল সম্পন্ন করেন তিনি।
২০১৩ সালে মডেলিং দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করা হুমায়রা পরবর্তীতে জনপ্রিয় নাটক ও চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তার উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে ‘জলাইবি’ (২০১৫) এবং ‘তামাশা ঘর’ (২০২২)।
ইনস্টাগ্রামে তার অনুসারী সংখ্যা ছিল প্রায় ৭ লাখ ১৫ হাজার। সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৪ তারিখের শেষ পোস্টে কোনো অস্বাভাবিকতা ছিল না, তবে তার সামাজিক মাধ্যমে সক্রিয়তা হঠাৎ কমে আসে, যা জনজীবন থেকে দূরে সরে যাওয়ার ইঙ্গিত হতে পারে।
পুলিশের ধারণা, অভিনেত্রীর মৃত্যু ঘটে অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনও অজানা। ফরেনসিক রিপোর্ট ও উদ্ধারকৃত প্রমাণ বিশ্লেষণের মাধ্যমে রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।
এমকে/টিএ