জাতীয় দলের সিনিয়র সহকারী কোচের দায়িত্বে প্রায় ৯ মাস কাটিয়ে দিয়েছেন মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। এ সময় প্রধান কোচের দায়িত্ব ছিলেন ফিল সিমন্স। সভাপতি হিসেবে শুরুতে ফারুক আহমেদকে পেলেও বর্তমানে বিসিবি সভাপতির দায়িত্বে আছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
দায়িত্ব নিয়েই কাজে লেগে পড়েছেন বুলবুল। আইসিসিতে কাজ করার কারণে ক্রিকেট ডেভোলাপমেন্টের ব্যাপারে কাজের অভিজ্ঞতা, জ্ঞান বেশ ভালো রকমের রয়েছে বুলবুলের। দেশের ক্রিকেটের উন্নতিতে ইতোমধ্যে বেশ কিছু উদ্যোগও নিয়েছেন বিসিবি প্রধান। সম্প্রতি জাতীয় দলের কোচিং স্টাফের একমাত্র দেশি কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের সাথে আলোচনাতেও বসেছিলেন বুলবুল।
দেশের গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বুলবুলের সাথে আলোচনার ব্যাপারটি খোলাসা করেছেন সালাউদ্দিন। কী আলোচনা হয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে জাতীয় দলের সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্টের (বুলবুল) সাথে আসলে (ক্রিকেটের) সার্বিক উন্নতি কীভাবে করা যায় (এ ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে)। (নতুন ব্যাটিং) কোচ আসতে আসতে দেরি হবে, বুলবুল ভাই হয়ত দেশের বাইরেও চলে যাবে। আমাদের কিছু লাগবে কিনা। কীভাবে কীভাবে উন্নতি করা যায়। দেশি কোচদের উন্নতি কীভাবে করা যায়। পরের কোর্স, ক্লাস, কোচিং এসব ব্যাপারেই কথা হয়েছে। আমি বুঝি দেশের কোচদের মান বাড়লে দেশের ক্রিকেটের উন্নতি হবে। এটা সবচেয়ে অবহেলিত সেক্টর যা নিয়ে কখনও কাজ হয়নি। উনি এগুলো অনেক ভালো জানে।’

এছাড়া নতুন ব্যাটিং কোচ আনা প্রসঙ্গে সালাউদ্দিন জানিয়েছেন, ‘দিন শেষে বাংলাদেশ দল উপকৃত হলে, বাংলাদেশ দলের লাভ হলে ১০ জন ব্যাটিং কোচ আসলেও আমার ব্যক্তিগত বিষয় না এটা। এখান থেকে যদি (দল) সামনে একটু আগায়ে যেতে পারে এটাই তো জরুরি। দিনশেষে এটা বাংলাদেশ দল। বাংলাদেশ দল যদি ফল খারাপ করে বদনাম কিন্তু হবেই আমাদের। দল ভালো করতে যেসব রিসোর্স দরকার, বোর্ড থেকে বা দল থেকে এভাবেই আমরা দেখি।’
এছাড়া বাংলাদেশ দলের ড্রেসিংরুমের কথা বাইরে আসা নিয়েও অসন্তোষ ছিল অনেকের মনে। সম্প্রতি যা অনেকটাই কমে এসেছে, আগের তুলনায়।
এ প্রসঙ্গে সালাউদ্দিন বলেন, ‘এরপরেও কিছু জিনিস মাঝেমধ্যে চলে আসে (হাসি)। এটা আমরা চেষ্টা করছি কীভাবে ড্রেসিংরুমের খবর যেন বাইরে না যায়। ছেলেদের মেন্টালিটি বেটার হয়েছে। তারাও নিজেদের অবস্থান থেকে আরও উপরে উঠার চেষ্টা করছে। ছেলেরা যেভাবে বড় হয়েছে, সেখানে পরিবর্তন করতে গেলে অনেক সময় সাফল্য আসতে পারে নাও আসতে পারে। তবে যদি নিবেদনটা থাকে তাহলে আজ হোক কাল হোক সেখানে তারা চলে যাবে। ছেলেরা যথেষ্ট সচেতন, ফিটনেস, খাদ্যাভাস নিয়ে। আগে হয়ত অনেককে বলে দিতে হইত। নিজের উন্নতির ব্যাপারেও তারা অনেক সচেতন। অনেক বছরের পুরনো অভ্যাস বদলাতে গেলে একটু সংগ্রাম করবেনই। তবে যদি নিজেকে দৃঢ়ভাবে রাখেন তাহলে সেই পরিবর্তনগুলো চলে আসে।’
২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে বাংলাদেশ দলের সিনিয়র সহকারী কোচের দায়িত্ব গ্রহণ করেন মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও জিতেছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ, ২-১ ব্যবধানে। মাঝে ২-১ ব্যবধানে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ। এছাড়া ৩-০ ব্যবধানে হেরেছে পাকিস্তানের কাছে পাকিস্তানের মাটিতে।
সর্বশেষ ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি সিরিজে পাকিস্তানকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে বাংলাদেশ।