বলিউডের একসময়ের পরিচিত মুখ অভিনেত্রী ইশা কোপিকার। অনেকেই তাকে মনে রেখেছেন ‘ডন’, ‘এলওসি কার্গিল’, ‘সালাম-এ-ইশক’–এর মতো সিনেমার জন্য। তবে খুব কম মানুষই জানেন তার ক্যারিয়ারের শুরুর দিকটার এক চমকপ্রদ ঘটনার কথা। সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইশা জানালেন, তাঁর দ্বিতীয় সিনেমা ‘চন্দ্রলেখা’র শুটিংয়ে তিনি দক্ষিণী তারকা নাগার্জুনের কাছে অনুরোধ করেছিলেন তাঁকে সত্যি চড় মারার জন্য! আর ফলস্বরূপ, একই দৃশ্যের শুটে তাকে ১৪ বার ঠাটিয়ে চড় খেতে হয়েছিল!
১৫ বছর বয়সে ‘কাস্টিং কাউচ’-এর তিক্ত অভিজ্ঞতা শেয়ার করার পর এবার আরো একটি ঘটনা শেয়ার করলেন তিনি; শোনালেন, অভিনেতা নাগার্জুনের হাতে একসঙ্গে ১৪ বার চড় খাওয়ার গল্প।
তেলুগু সিনেমা ‘চন্দ্রলেখা’-তে ইশার প্রথম অভিনয়। সেই ছবির একটি অন্তরঙ্গ দৃশ্যের জন্য থাপ্পড় মারার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু অভিনেত্রীর গালে আলতো ভাবে হাত ছোঁয়াচ্ছিলেন অভিনেতা; যেন জোরে না লাগে।
কিন্তু বাধা দেন অভিনেত্রী। এরপর, দৃশ্যটা বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতেই নাগার্জুনকে ইশা সত্যি করে চড় মারার অনুমতি দেন। পরে একে একে ১৪টি চড় খেতে হয় সেদিন ইশাকে। এতে অভিনেত্রীর গাল লালও হয়ে যায় সেদিন।
আঘাতের দাগ স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
সাক্ষাৎকারে ইশা জানান, দৃশ্যটি শেষ হওয়ার পর বারবার ইশার কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন নাগার্জুন। এ নিয়ে ইশার স্পষ্ট কথা, ‘আমি নিজেই ওকে বলেছিলাম এমনটা করতে। তবু ওর মধ্যে অপরাধবোধ কাজ করছিল।’
‘চন্দ্রলেখা’ ছবির মাধ্যমেই দক্ষিণী ছবিতে পা রেখেছিলেন ইশা।
১৯৯৮ সালের এই ছবিটি ছিল ইশার প্রথম তেলুগু ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয়। ছবিটি মালয়ালম ছবি ‘চন্দ্রলেখা’র রিমেক, পরিচালনায় ছিলেন কৃষ্ণা ভামসি। অভিনেত্রী ছাড়াও ছবিতে ছিলেন নাগার্জুন, রাম্যা কৃষ্ণন, চন্দ্র মোহন, গিরি বাবু, প্রমুখ।
এসএন