বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সৈয়দা আসিফা আশরাফী পাপিয়া বলেছেন, আমরা টেন্ডারবাজমুক্ত বাংলাদেশই চেয়েছি, এখনো চাচ্ছি। আমরা চাঁদাবাজমুক্ত বাংলাদেশ চাই। কোনো শিশু, কিশোরী, স্ত্রী কারোর যেখানে সেখানে শ্লীলতাহানি হবে, ধর্ষিতা হবে এই ধর্ষিতা ও শ্লীলতাহানির হাত থেকে মুক্ত বাংলাদেশের কল্পনা ছোটবেলা থেকে করতে করতেই এতদূর পর্যন্ত এসেছি।
সম্প্রতি এক টেলিভিশন টকশোতে তিনি এসব কথা বলেন।
সৈয়দা আসিফা বলেন, তাদের সংগঠনকে এত বাণিজ্যিক করে ফেলার কারণটা কি? সংগঠন আমার দর্শন। সংগঠন হচ্ছে নীতি, আদর্শ। সংগঠন পেশা না। সংগঠনের নীতি আদর্শ সমস্ত কিছু বিচ্যুত করে যখন পেশা হিসেবে নেওয়া হবে তখনই এই সমস্ত অপকর্ম, অরাজকতাপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরী হবে।
প্রত্যাশিত বাংলাদেশের যে স্বপ্ন সেখানে কুঠার আঘাত হানবে।
তিনি বলেন, চাঁদাবাজি যেই করুক এটা প্রশংসা করার বিষয় না। এটাকে সমর্থন দেয়ার বিষয় না। এটার স্বপক্ষে সাফাই গাওয়ারও কোনো বিষয় না।
যে পরিচয়েই চাঁদাবাজি হোক, চাঁদাবাজ মুক্ত বাংলাদেশই আমরা চাই।
পাপিয়া বলেন, পুলিশ বাহিনীকে অসারতা দূর করতে হবে। কার কাছে ভালো হবো, কার কাছে মন্দ হবো দেখার বিষয় নেই। এখন তাদেরকে ইমেজ রক্ষা করতে গেলে বাংলাদেশের জনগণের কাছে ভালো হওয়ার চিন্তা করতে হবে। সেই মাফিক কাজ করতে হবে।
কোন দলীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে ভালো-মন্দ হওয়ার চিন্তা টোটালি বাদ দিয়ে দিতে হবে।
পাপিয়া আরো বলেন, মনের ভিতরে এত অশান্তি এত এজেন্ডা নিয়ে কখনো কাজের হওয়া যায় না। প্রেশার গ্রুপ হতে গেলে এত এজেন্ডা থাকতে হয় না। নিজেদের এত অ্যাম্বিশন থাকতে হয় না। রাজনীতি সংগঠন করবো, ৩০০ ভেতরে ৪০০ সিট পেয়ে যাবো। ক্ষমতায় যাবো, রাষ্ট্র চালাবো। পুরাতন বন্দোবস্ত ভেঙে চুড়ে লুটপাট করবো। কিন্তু নিজের সংগঠনেই চাঁদা মুক্ত করতে পারেনি এখনো তারা। তাহলে নতুন সংগঠনে নতুন চেতনা, নতুন সুশিক্ষিত সব পিএইচডি, ডক্টরেট এই সমস্ত ব্যক্তিবর্গের কাছ থেকে বক্তব্যের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ আচরণ দেশবাসী প্রত্যাশা করে না।
পিএ/এসএন