২০২৫ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে বিশ্ববাজারে স্বর্ণের চাহিদা বেড়েছে ৩ শতাংশ। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল (ডব্লিউজিসি) বলছে, ওভার-দ্য-কাউন্টার (ওটিসি) ট্রেডিংসহ বিভিন্ন বিনিয়োগে স্বর্ণের চাহিদা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৪৮ দশমিক ৮ মেট্রিক টন। এর পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে বিনিয়োগে ৭৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি।
বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা ও যুদ্ধ-অস্থিরতার মধ্যে নিরাপদ বিনিয়োগ হিসেবে স্বর্ণের দিকে ঝুঁকেছেন অনেকে। গত এপ্রিল মাসে প্রতি ট্রয় আউন্স স্বর্ণের দাম পৌঁছায় রেকর্ড ৩ হাজার ৫০০ ডলারে। আর বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত দাম বেড়েছে প্রায় ২৬ শতাংশ।
গোল্ড বারের চাহিদা বেড়েছে ২১ শতাংশ, যা কয়েন বা মুদ্রার চাহিদা কমে যাওয়ার প্রভাব কিছুটা সামলাতে পেরেছে। তবে গহনার ক্ষেত্রে চিত্র ভিন্ন। উচ্চমূল্যের কারণে অনেকেই গহনা কেনা থেকে সরে এসেছেন। ফলে বিশ্বব্যাপী গহনার ব্যবহার ১৪ শতাংশ কমেছে, নেমে এসেছে ৩৪১ টনে-যা ২০২০ সালের পর সর্বনিম্ন।
ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল জানায়, চীন ও ভারতেই গহনার চাহিদা সবচেয়ে বেশি কমেছে। এই দুই দেশের সম্মিলিত বাজার অংশ নেমে এসেছে ৫০ শতাংশের নিচে-গত পাঁচ বছরে মাত্র তৃতীয়বার এমনটা ঘটেছে।
এদিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোও দ্বিতীয় প্রান্তিকে স্বর্ণের ক্রয় কমিয়েছে। আগের প্রান্তিকের তুলনায় এবার তারা ২১ শতাংশ কম, ১৬৬ দশমিক ৫ টন স্বর্ণ কিনেছে।
পুনর্ব্যবহারে কিছুটা বাড়তি গতি দেখা গেছে। দ্বিতীয় প্রান্তিকে রিসাইক্লিং বেড়েছে ৪ শতাংশ, হয়েছে ৩৪৭ দশমিক ২ টন। তবে রেকর্ড দামের পরও ভারতীয়রা পুরোনো গহনা বিক্রি না করে বরং তা বদলে নতুন গহনা কেনার দিকেই ঝুঁকেছেন।
এছাড়া জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ফিজিক্যাল গোল্ড-সমর্থিত এক্সচেঞ্জ-ট্রেডেড ফান্ডে (ইটিএফ) রেকর্ড অর্ধ-বার্ষিক প্রবাহ দেখা গেছে। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল বলছে, বছরের দ্বিতীয়ার্ধেও ইটিএফ খাতে বাড়তি চাহিদা দেখা যেতে পারে।
সূত্র- রয়টার্স
কেএন/এসএন