সিরিয়ার সঙ্গে পুরনো চুক্তি পর্যালোচনায় আগ্রহী রাশিয়া

সিরিয়া ও রাশিয়া বৃহস্পতিবার ইঙ্গিত দিয়েছে, তারা পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদার করবে এবং মস্কোপন্থী বাশার আল-আসাদের সাবেক সরকারের আমলে করা চুক্তিগুলো পর্যালোচনা করবে। দেশটির থাকা রাশিয়ার দুটি সামরিক ঘাঁটির ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যেই এই বার্তা এলো।

সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল-শায়বানি এদিন মস্কোতে এক বৈঠকে রাশিয়ার সমর্থনের আহ্বান জানান। গত বছর বিদ্রোহীদের এক ঝটিকা আক্রমণে আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তিনি রাশিয়ায় পালিয়ে যান।

তার পর থেকে এটাই ছিল কোনো শীর্ষ সিরীয় কর্মকর্তার রাশিয়া সফরের প্রথম ঘটনা। রাশিয়া আসাদের দীর্ঘদিনের প্রধান মিত্র ছিল।

দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জটিল হয়ে পড়েছে স্বীকার করে শায়বানি রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভকে বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমরা চাই রাশিয়া আমাদের পাশে থাকুক।’

রাশিয়ার ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলে সিরিয়ার তারতুসে নৌঘাঁটি ও হামেইমিমে বিমানঘাঁটি এই দুটি ঘাঁটি সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের বাইরের একমাত্র আনুষ্ঠানিক রুশ সামরিক স্থাপনা।

২০১৫ সালে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে আসাদের পক্ষ নিয়ে হস্তক্ষেপের সময় রাশিয়া এই ঘাঁটিগুলো ব্যাপকভাবে ব্যবহার করেছিল, বিশেষ করে বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে ভারী বোমাবর্ষণে।

বর্তমানে সিরিয়ায় ইসলামপন্থী নতুন সরকার রাশিয়াকে ঘাঁটি রাখতে দেবে কি না, তা এখনো অনিশ্চিত। তবে লাভরভ এদিন বলেন, এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা ধ্বংসাত্মক সংঘাতের পর সিরিয়ার পুনর্গঠনে রাশিয়া সাহায্য করতে প্রস্তুত এবং ‘ভিন্ন প্রেক্ষাপটে স্বাক্ষরিত চুক্তি ও চুক্তিপত্রগুলো’ পর্যালোচনার প্রয়োজন রয়েছে।

লাভরভের বক্তব্যের প্রতিধ্বনি করে সিরীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীও বলেন, এসব চুক্তি ‘সিরিয়ার জনগণের প্রয়োজন মেটাচ্ছে কি না’ তা বুঝতে পর্যালোচনা জরুরি।

তবে দুই মন্ত্রীই উল্লেখ করেননি, ২০৬৬ সাল পর্যন্ত বৈধ সামরিক ঘাঁটির ইজারাসংক্রান্ত চুক্তিও আলোচনায় রয়েছে কি না।

সংবাদ সম্মেলনে শায়বানি আরো বলেন, সিরিয়ার রূপান্তর প্রক্রিয়ায় তাদের ‘বন্ধু ও অংশীদার’ প্রয়োজন। অন্যদিকে লাভরভ বলেন, সিরিয়ার প্রতি রাশিয়ার ঐতিহাসিক সমর্থন ‘রাজনৈতিক পরিস্থিতি বা সরকারের পরিবর্তনের ওপর নির্ভর করে না’।

এমকে/টিএ

Share this news on:

সর্বশেষ

img
ঢাকায় বজ্রসহ বৃষ্টির আভাস Aug 02, 2025
img
‘বিগ বস ১৯’ প্রিমিয়ার ২৪ আগস্ট, সালমান খানের নতুন থিমে চমক Aug 02, 2025
img
বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি : জয়শঙ্কর Aug 02, 2025
img
মাত্র ১১ টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছিলেন সোনাম, সিনেমা সুপারহিট জিতেছিল ৫৫টি পুরস্কার Aug 02, 2025
img
যারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না তাদের ভোট চাওয়ার অধিকার নেই : তাহের সুমন Aug 02, 2025
img
স্ত্রীর জন্মদিনে বিশেষ আয়োজন সিদ্ধার্থের, আপ্লুত কিয়ারা Aug 02, 2025
img
বেফাঁস মন্তব্যে কঙ্গনা, ছাড় দিল না আদালত Aug 02, 2025
img
জুলাই বিপ্লব তরুণদের চেতনার জাগরণ : রিজভী Aug 02, 2025
img
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ৩ বিভাগে অতি ভারী বৃষ্টির আভাস Aug 02, 2025
img
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ২৪ ঘণ্টায় ৮৩ ফিলিস্তিনি নিহত Aug 02, 2025
img
জাবির নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে নিহত শ্রমিক, তদন্তের দাবি উপাচার্যের Aug 02, 2025
img
গণতন্ত্র এখনো পরিপূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠা হয়নি : আমিনুল হক Aug 02, 2025
img
চমকে দিলেন রোহিত শেঠি, ফিরছে অজয় দেবগণের ‘গোলমাল ৫’ Aug 02, 2025
img
ঢাকায় সমাবেশে অংশ নিতে ২০ বগির ট্রেন ভাড়া নিয়েছে চট্টগ্রাম ছাত্রদল Aug 02, 2025
img
‘রাঞ্জনা’তে ধনুশ নয়, প্রথম পছন্দ ছিলেন রণবীর! Aug 02, 2025
'আ.লীগকে ছাড় দেয়া যাবে না' বললেন মুগ্ধের বাবা Aug 02, 2025
img
প্রেমে হেরে, অভিনয়ে জিতে বলিউড মাতাচ্ছেন তৃপ্তি ডিমরি Aug 02, 2025
img
বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে বিজয়ের ‘কিংডম’, প্রেমভরা বার্তায় রাশ্মিকা Aug 02, 2025
img
সনদ চাইনি, আমাদের জুলাই ঘোষণা কোথায়: ফরহাদ মজহার Aug 02, 2025
img
জনপ্রিয়তা বাড়াতে বিপিএলের হোম-অ্যাওয়ে পথে হাঁটতে চায় বিসিবি Aug 02, 2025