হিন্দি ভাষার আগ্রাসন নিয়ে ভারতের দক্ষিণ ও পশ্চিম রাজ্যগুলোতে দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্ক ও প্রতিরোধ চলছে। তামিলনাড়ু, কেরালা, কর্ণাটকের পাশাপাশি এবার মহারাষ্ট্রেও এই ভাষাগত সংঘাতের আঁচ গিয়েছে। কখনও দোকানদারকে মারাঠি না জানার ‘অপরাধে’ হেনস্তা হতে হয়েছে, আবার কখনও ব্যাংকে মারাঠি ভাষায় কথা না বলার কারণে তৈরি হয়েছে উত্তেজনা। এই প্রেক্ষাপটেই বড় সিদ্ধান্ত নিলেন বলিউড তারকা সালমান খান নয়, আমির খান।
নিজের ‘খান’ পদবীকে ঘিরে বহুবার দেশদ্রোহের অভিযোগ ও পাকিস্তানে চলে যাওয়ার হুমকি শুনেছেন তিনি। তা সত্ত্বেও আমির বারবার প্রমাণ করেছেন, ভাষা বা ধর্ম নয়, তাঁর পরিচয় একটাই, ভারতীয়। এবার মহারাষ্ট্রে ভাষা বিতর্কের মাঝেই নিজেই জানালেন, গৃহশিক্ষক রেখে রীতিমতো মারাঠি ভাষা শিখেছেন তিনি।
এক সাক্ষাৎকারে আমির খান বলেন, “আমি ৪৪ বছর বয়সে মারাঠি ভাষা শিখি। এটা একটা লজ্জার বিষয় ছিল যে, আমি নিজেই মহারাষ্ট্রের মানুষ, অথচ রাজ্যের ভাষাটাই বলতে পারি না। তখনই ঠিক করি শেখা দরকার। একজন গৃহশিক্ষক রেখে মারাঠি শেখা শুরু করি, এখন তো সাবলীলভাবে বলতেও পারি।”
তিনি আরও বলেন, “আমার মতে, আপনি যে পেশার সঙ্গেই যুক্ত থাকুন না কেন, যত বেশি ভাষা জানবেন, ততটাই আপনার জন্য লাভজনক। আমি ভাষাজ্ঞান বিষয়ে খুব দুর্বল ছিলাম। তাই মারাঠি শিখতে কিছুটা সময় লেগেছে।”
যদিও রাজ্যে ভাষার নামে যেভাবে ‘ভাষা-সন্ত্রাস’ ছড়ানো হচ্ছে, তা নিয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করেননি আমির খান। তবে তাঁর এই পদক্ষেপ থেকেই স্পষ্ট তিনি রাজ্যের ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল।
এমকে/টিএ