অস্ট্রেলিয়ার নারী ফুটবল লিগে খেলার প্রস্তাব পেয়েছেন বাংলাদেশের ঋতুপর্না চাকমা। যমুনা টেলিভিশনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বাফুফের সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম। তবে, তার খেলা নির্ভর করছে অনেক যদি-কিন্তুর উপর। এশিয়া ও ইউরোপের বেশ ক’টি দেশের ক্লাবের সঙ্গে নারীদের খেলা নিয়েও আলোচনা করছে ফুটবল ফেডারেশন।
কথিত আছে, যে রাঁধে, সে চুলও বাঁধে। যে ফুটবল খেলে, সে বিশ্বও জয় করতে পারে। ২০১০ সালে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা বাংলাদেশ, পরের ১৬ বছরে এশিয়ার সেরা ১২ দলে পরিণত হবার পেছনে যে রয়েছে অদম্য মেয়েদের হার না মানা গল্প।
ঋতুপর্ণা-আফঈদারা টানা দুই বার দক্ষিণ এশিয়ার সেরা। বিশ্ব ফুটবল মার্কেটে বাড়ছে তাদের ডিমান্ড। সেই ধারাবাহিকতায় এবার অস্ট্রেলিয়ান লিগ থেকে বাংলাদেশের একজন ফুটবলারকে নেয়ার প্রস্তাব আসলো বাফুফের কাছে। তিনি আর কেউ নন। বাংলাদেশ নারী দলের প্রাণ ভোমরা ঋতুপর্ণা চাকমা।
বাফুফের সহ-সভাপতি ফাহাদ করিম বলেন, অস্ট্রেলিয়ার লিগের এজেন্ট ঋতুপর্ণাকে তাদের লিগে খেলানোর বিষয়ে যোগাযোগ করেছে। কিন্তু এটা সফল হতে অনেক যদি-কিন্তু আছে। ইউরোপ ও এশিয়ার অনেক ক্লাবে আমাদের দেশের মেয়েদের আগামী বছর দেখা যাবে।
অস্ট্রেলিয়ান যে ক্লাব থেকে খেলার প্রস্তাব পেয়েছেন ঋতুপর্ণা, সেটির নাম গোপন রেখেছে বাফুফে। তবে সেটি অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল প্রিমিয়ার লিগ উইমেনসের একটি ক্লাব। যারা খেলে সে দেশের নারী ফুটবলের তৃতীয় টায়ারে। এশিয়ান কাপ আগামী বছর মার্চে হবে অস্ট্রেলিয়াতেই। সেই দেশের কোনো ক্লাবে খেলার চেয়ে ভালো আর কি হতে পারে।
এদিকে বাফুফে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে মিশন অস্ট্রেলিয়ার জন্য হাই ইন্টেনসিভ ট্রেনিং শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে। এবং আগামী বছর এশিয়া কাপের আগে খেলবে কমপক্ষে ৬ টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ। সেই সাথে ডিসেম্বরে ঘরের মাটিতে নারী ফুটবল লিগ তো আছেই। তাই এই অবস্থায় বাফুফে ঋতুপর্নাকে ছাড়বে কিনা সেটা নির্ভর করছে অনেক যদি কিন্তুর উপর।
কেননা সাধারনত কোনো ক্লাব ফুটবলারকে কিনলে পুরো মৌসুমের জন্য চায় সেই ক্লাব। আর বাফুফে চায় রিতুপর্নাকে দেশের জার্সিতে সবকটি ম্যাচে পেতে।
উল্লেখ্য, বর্তমানে ভুটান লিগে পারো এফসির হয়ে খেলছেন দেশের নারী ফুটবলের পোস্টার গার্ল ঋতুপর্ণা চাকমা।
এসএন