একসময় যাঁকে কেউ পাত্তাই দিত না, তিনিই এখন একাধিক সুপারহিট ছবির মুখ। যাঁর ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল ভরাডুবি দিয়ে, তিনিই এখন বলিউডের চর্চিত নাম। দিনের পর দিন অডিশন দিয়ে প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন, কিন্তু হার মানেননি তৃপ্তি ডিমরি। ব্যক্তিগত জীবনের টানাপোড়েনেও দমে না গিয়ে কেবল পরিশ্রম আর প্রতিভা দিয়ে প্রমাণ করেছেন নিজের জায়গা।
নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন অনেকের থাকে, কিন্তু তৃপ্তির মতো কজন পারেন সেই স্বপ্নে রঙ চড়াতে! ছোটবেলায় ‘রামলীলা’য় ‘সূর্পনখা’র চরিত্রে অভিনয় করা মেয়েটি ভাবতেই পারেননি একদিন তাঁকে ঘিরে গোটা বলিউড আলোচনা করবে। অথচ ঠিক সেটাই হয়েছে। মডেলিং দিয়ে শুরু, তারপর একটার পর একটা অডিশন— তবুও কেউ তাকায়নি তাঁর দিকে।
প্রথম ছবি ‘লায়লা মজনু’ ব্যর্থ হওয়ায় অনেকেই ভেবেছিলেন, তৃপ্তির হয়তো এখানেই শেষ। কিন্তু তিনি থামেননি। বলিউডের অন্দরে গুঞ্জন ছিল, ক্যারিয়ারে ধাক্কা খাওয়ার সময় তিনি সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন অনুষ্কা শর্মার ভাই ও প্রযোজক কর্ণেশ শর্মার সঙ্গে। এমনকি তাঁদের বিয়ের কথাও উঠেছিল। কিন্তু সেই সম্পর্কও শেষ পর্যন্ত টেকেনি। যদিও এ নিয়ে কেউ কখনও মুখ খোলেননি।
জীবনের এই কঠিন সময় পেরিয়ে যেটি তাঁর ভাগ্য ফেরায়, তা হলো সন্দীপ রেড্ডি ভঙ্গার ‘অ্যানিম্যাল’। রণবীর কাপূরের বিপরীতে তৃপ্তির সাহসী অভিনয় তাঁকে এনে দেয় জনপ্রিয়তার ঝড়। দর্শকের প্রশংসা, সমালোচকদের আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসেন তিনি।
এরপরই বলিউড যেন তৃপ্তিকে নতুন চোখে দেখতে শুরু করে। ‘ভুলভুলাইয়া’ ফ্র্যাঞ্চাইজির তৃতীয় কিস্তিতে কার্তিক আরিয়ানের বিপরীতে চুক্তিবদ্ধ হন তিনি। বলিউডের ৯০০ কোটির ‘কন্যে’ হিসেবে এখন তৃপ্তির নামই উঠে আসে সবার আগে। পরপর বড় প্রজেক্ট— শাহিদ কাপূরের বিপরীতে অভিনয়, বিশাল ভরদ্বাজের পরিচালনায় নতুন ছবি— সবই যেন তাঁর প্রতি ইন্ডাস্ট্রির আস্থা আর ভরসার প্রমাণ।
যে তৃপ্তি একসময় নায়িকা নির্বাচকদের দরজায় দরজায় ঘুরেছেন, তিনিই এখন পরিচালকদের প্রথম পছন্দ। এক জীবনে এমন ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প খুব কমই দেখা যায়। তৃপ্তির এই উত্থান আজ বলিউডের এক অনুপ্রেরণার নাম।
এসএন