স্বপ্নের মতো মৌসুম কাটিয়েছে প্যারিসিয়ান সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। ঘরোয়া ট্রেবল ছাড়াও লুইস এনরিকের দলটি নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিতেছে। ফরাসি জায়ান্টদের লাগামহীন উদযাপনের খবর বেশ কয়েকবারই শিরোনাম হয়েছিল। এবার একই কারণে দেড় লাখ ইউরো জরিমানা হয়েছে পিএসজির। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ টাকা।
গত ৩১ মে বায়ার্ন মিউনিখ স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ইন্টার মিলানকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল পিএসজি। ওই ম্যাচে শিরোপাজয়ী সমর্থকদের অসদাচরণের বিষয়টি উয়েফার নজরে পড়েছে। সংস্থাটির ডিসিপ্লিনারি প্যানেল তাদের বিরুদ্ধে ৬টি অভিযোগ এনেছিল, এর মধ্যে রয়েছে ‘এমন বার্তা দেওয়া, যা ক্রীড়া ইভেন্টের সঙ্গে মানানসই নয়’ এবং ‘উয়েফাকে অসম্মান প্রদর্শন’। ফাইনাল ম্যাচ শেষে টার্ফের কিছু অংশ তুলে নেওয়ার পাশাপাশি ‘উয়েফা মাফিয়া’ ব্যানারও প্রদর্শন করেছিল পিএসজি ভক্তরা।
ইন্টার মিলানকে হারানোর পরই ফরাসি দর্শকরা মাঠে ঢুকে পড়েন। এরপর আতশবাজি পোড়ানো, জিনিসপত্র নিক্ষেপ, সম্পত্তির ক্ষতি করা ও অনুপযুক্ত বার্তা প্রদর্শনের অভিযোগ আনা হয় ফরাসি ক্লাবটির বিরুদ্ধে। গোলপোস্টের পেছন দিয়ে তাদের এই লাগামহীন ছোটাছুটি নিয়ন্ত্রণ করতে খাবি খেয়েছে নিরাপত্তাকর্মীরা। পিএসজিকে সবচেয়ে বড় শাস্তি দেওয়া হয়েছে সমর্থকদের মাঠে নেমে পড়া ও আতশবাজি ব্যবহারের জন্য।
প্রধান দুটি অপরাধের জন্য সমন্বিতভাবে পিএসজিকে জরিমানা করা হয়েছে এক লাখ ইউরো। খেলা শেষে টার্ফের কিছু কিছু অংশ তুলে নিয়ে যান দর্শকরা। মাঠের ক্ষতিসাধনের জন্য জরিমানা ৮ হাজার ইউরো। এ ছাড়া আক্রমণাত্মক বার্তা দেওয়ায় ১০ হাজার ইউরো এবং উয়েফার প্রতিযোগিতায় পিএসজির একটি ম্যাচের জন্য অ্যাওয়ে টিকেট বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞাও দেওয়া হয়েছে। তবে এই শাস্তি স্থগিত রাখা হয়েছে দুই বছরের জন্য।
নিজেদের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সাফল্য পাওয়া পিএসজির জন্য হয়তো এই জরিমানা কিছুই নয়। তবে ফ্রান্সের বাইরে অবশ্যই বড় মঞ্চে দর্শকদের আচরণ নিয়ন্ত্রণের তাগিদ তৈরি হতে পারে এবার। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের মাধ্যমে পিএসজি প্রাইজমানি হিসেবে উয়েফার কাছ থেকে ১৪০ মিলিয়ন ইউরো পেয়েছে। কেবল চ্যাম্পিয়ন হয়েই তাদের পকেটে ঢুকছে ২৭.৮ মিলিয়ন ডলার।
যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩৩৯ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এ ছাড়াও বিভিন্ন পর্বে ম্যাচপ্রতি জয়ের হিসাব রয়েছে।
এমকে/এসএন