লিগস কাপে নেকাক্সার বিপক্ষে ম্যাচে মাত্র ১১ মিনিট মাঠে থাকতে পেরেছেন লিওনেল মেসি। ঘরের মাঠ চেজ স্টেডিয়ামে প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে বল দখলের লড়াইয়ে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পান তিনি। শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে জয় পেলেও মেসির ইনজুরি বড় দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে ইন্টার মায়ামির।
রোববার (৩ আগস্ট) সকালে চেজ স্টেডিয়ামে নেকাক্সাকে টাইব্রেকারে ৫-৪ ব্যবধানে হারিয়েছে ইন্টার মায়ামি। নির্ধারিত সময়ের খেলায় দুই দল ২-২ গোলের সমতায় শেষ করলে খেলা অতিরিক্ত সময়ে গড়িয়েছিল। তাতেও ফল না আসলে টাইব্রেকারে গড়ায় খেলা। এই ম্যাচের ১১ মিনিটের সময় চোট পান মায়ামির অধিনায়ক মেসি। বল নিয়ে ড্রিবলিং করে নিকাক্সাওয়ের বক্সে ঢুকতে গেলে রাউল সানচেজ ও আলেক্সিস পেনার সঙ্গে সংঘর্ষ হয় মেসির।
এই চোট কতটা গুরুতর তা এখনও জানা না গেলেও কয়েকটি ম্যাচে যে তাকে মাঠের বাইরে কাটাতে হবে তা মোটামুটি নিশ্চিত। তার ইনজুরির অবস্থা খুব একটা ভালো নয় বলেই মনে করা হচ্ছে, যদিও চূড়ান্ত মূল্যায়ন করতে ফোলা কমার পর মায়ামিতে এমআরআই করানো হবে। ম্যাচের পর মায়ামির কোচ মাশচেরানো বলেন, 'লিও হ্যামস্ট্রিংয়ে অস্বস্তি অনুভব করেছে। কাল (আজ) পরীক্ষা না হওয়া পর্যন্ত আমরা কিছু নিশ্চিত বলতে পারছি না। নিশ্চিতভাবেই কিছু একটা হয়েছে। হয়তো তেমন গুরুতর নয়, কারণ ব্যথা ছিল না, তবে অস্বস্তি অনুভব করেছে।'
এই ইনজুরির পরই বোঝা যাচ্ছে কেন মায়ামি মেসিকে এমএলএস অল-স্টার ম্যাচে না খেলতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। যদিও এর মাশুল হিসেবে এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা কাটাতে হয়েছে এই ৩৮ বছর বয়সীকে।
অল-স্টারের সেই ম্যাচের আগে মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে মেসিকে পাঁচটি এমএলএস ম্যাচ খেলতে হয়েছিল (বিশ্বকাপ বাছাইয়ের কারণে), তার আগে ৩৫ দিনে ৯টি প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলেছেন তিনি এবং অল-স্টার ম্যাচের পরের ৩৪ দিনে আরও ১০টি ম্যাচ খেলার কথা ছিল তার। কিন্তু অ্যাটলাসের বিপক্ষে ম্যাচটিতেই শুধু পূর্ণ সময় খেলতে পেরেছেন তিনি। ইনজুরির কারণে মেসিকে কতদিন মাঠের বাইরে থাকতে হবে তা আজ কালকের মাঝেই জানা যাবে। তবে এখন পর্যন্ত যা বোঝা যাচ্ছে তা সুখকর নয়। সে ক্ষেত্রে এমএলএস তাদের ‘সোনার হাঁস’কে সাময়িকভাবে হারাতে চলেছে।
এমকে/টিএ