আম্পায়ারদের সঙ্গে ক্রিকেটারদের বাজে আচরণ বা ঝগড়া নতুন কিছু না। প্রায়ই কোনো না কোনো ঘটনায় ক্রিকেটাররা আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তবে সবকিছুরই সীমা আছে। আর ক্রিকেটাররা বাজে আচরণে সীমালঙ্ঘন করলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার (আইসিসি) কাছ থেকে শাস্তিও পেয়ে থাকেন।
সেই ধারাবাহিকতায় অস্ট্রেলিয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটার টিম ডেভিডকে ম্যাচ ফির ১০ শতাংশ জরিমানা করেছে আইসিসি। একই সঙ্গে তার নামের পাশে যুক্ত হয়েছে একটি ডিমেরিট পয়েন্ট। আইসিসি আজ এক বিবৃতিতে ডেভিডের শাস্তির কথা নিশ্চিত করেছে। অস্ট্রেলিয়ার এই বিধ্বংসী ব্যাটারের বিরুদ্ধে আইসিসি খেলোয়াড় ও সাপোর্টিং স্টাফের আচরণবিধির ২.৮ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘনের অভিযোগও উঠেছে।
এই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আন্তর্জাতিক ম্যাচে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করলে শাস্তির নিয়ম রয়েছে। ডেভিড শাস্তি পেয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের পঞ্চম টি-টোয়েন্টি ম্যাচের এক ঘটনায়। সেন্ট কিটসে ২৮ জুলাই বাংলাদেশ সময় ভোরে অনুষ্ঠিত ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেওয়া ১৭১ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করছিল অস্ট্রেলিয়া।
সেই ম্যাচে পঞ্চম ওভারে ক্যারিবীয় পেসার আলজারি জোসেফের একটি বল মোকাবিলা করার পর ডেভিড তার দুই হাত প্রসারিত করেছিলেন। আম্পায়ারকে মূলত ওয়াইড দেওয়ার ইশারা করেছিলেন ডেভিড। তিনি মনে করেছিলেন বলটা লেগ সাইডের বাইরে দিয়ে চলে গিয়েছিল। সেই ম্যাচে মাঠের আম্পায়ার ছিলেন লেসলি রাইফার, জাহিদ বাসারাথ। টিভি ও রিজার্ভ আম্পায়ারের দায়িত্বে ছিলেন ডেইটন বাটলার ও গ্রেগরি ব্র্যাথওয়েট।
কদিন আগে শেষ হওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরটা দুর্দান্ত কেটেছে অস্ট্রেলিয়ার। টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে ৮ ম্যাচের সবগুলোই জেতে অজিরা। যেখানে পঞ্চম টি-টোয়েন্টিতে ১৭১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া ৩ ওভার হাতে রেখে তিন উইকেটে জেতে। ডেভিড ১২ বলে ১ চার ও ৪ ছক্কায় ৩০ রান করেন। সেই ম্যাচে ৪ ওভারে ৪১ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পেয়েছেন অজি পেসার বেন ডোয়ারশুইস।