চাঁদে পারমাণবিক চুল্লি নির্মাণের পরিকল্পনা করছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। ২০৩০ সালের মধ্যে মার্কিন এই সংস্থাটি দ্রুত এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে।
মার্কিন গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এই খবর সামনে এসেছে। বুধবার (৬ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, নাসা ২০৩০ সালের মধ্যে চাঁদের মাটিতে একটি পারমাণবিক চুল্লি স্থাপনের পরিকল্পনা নিচ্ছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকো। এ উদ্যোগ চাঁদে যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য বাড়ানো এবং চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকার কৌশলের অংশ বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
পলিটিকোর হাতে আসা অভ্যন্তরীণ নথির বরাতে জানানো হয়েছে, নাসা বেসরকারি খাত থেকে ১০০ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি পারমাণবিক চুল্লি তৈরির প্রস্তাব আহ্বান করবে, যা চাঁদের মাটিতে দীর্ঘমেয়াদি মিশনে শক্তি সরবরাহ করতে পারবে। ভবিষ্যতে মানুষসহ চন্দ্রাভিযানের জন্য এটি সহায়ক হবে।
নাম প্রকাশ না করে নাসার এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা পলিটিকোকে বলেন, “এটা দ্বিতীয় মহাকাশ দৌড়ে জয়ী হওয়ার বিষয়।”
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নাসাকে ৬০ দিনের মধ্যে একটি প্রকল্প নেতৃত্ব নির্বাচন এবং শিল্পখাতে আলোচনা শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চুল্লিটি ২০৩০ সালের মধ্যেই চালু করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে— যে সময়ের কাছাকাছিই চীন তাদের প্রথম নভোচারীকে চাঁদে পাঠানোর পরিকল্পনা করছে।
এর আগে নাসা ৪০ কিলোওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ছোট একটি চুল্লি নিয়ে গবেষণায় অর্থায়ন করেছিল, তবে এবার সময়সীমা ও সক্ষমতার দিক থেকে লক্ষ্য আরও বড়।
নথিতে সতর্ক করে আরও বলা হয়েছে, যে দেশ প্রথম পারমাণবিক চুল্লি স্থাপন করবে, তারা চাঁদের নির্দিষ্ট অংশ নিজেদের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করতে পারে, যা অন্যদের প্রবেশাধিকার সীমিত করতে পারে।
তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত বাজেটে নাসার বরাদ্দ প্রায় এক চতুর্থাংশ কমিয়ে ২৪.৮ বিলিয়ন ডলার থেকে ১৮.৮ বিলিয়ন ডলারে নামিয়ে আনার প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন উঠছে, এই পারমাণবিক প্রকল্পের জন্য অর্থ কোথা থেকে আসবে এবং সেরকম হলে ঐতিহ্যবাহী মহাকাশ গবেষণার জন্য কতটা অর্থ অবশিষ্ট থাকবে।
পিএ/এসএন