চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি অধ্যক্ষ বদরুল হক বলেছেন, ‘বিগত স্বৈরাচারের আমলে দেশের সাধারণ মানুষের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে। গত বছর ৫ আগস্ট দেশ সে রেজিম হতে মুক্তি লাভ করেছিল। আগামীতে ফ্যাসিস্ট, শাহবাগী কিংবা চাঁদাবাজ যেই রূপেই আসুক তার বিরুদ্ধে আমাদের তৎপর হতে হবে।’
গতকাল মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় ঐতিহাসিক জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা সাংগঠনিক শাখার উদ্যোগে গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
মিছিলটি পটিয়া বাস স্ট্যান্ড থেকে শুরু হয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা চত্বরে সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ বদরুল হক।
বদরুল হক বলেন, ‘যারা ইসলামকে সমর্থন করে না, এ দেশে ইসলাম কায়েম হোক এটা যারা চায় না, তারা শুরু থেকে এ পর্যন্ত জামায়াত ইসলামীর বিরোধীতা করছে। অপবাদ দিচ্ছে, মিথ্যা কথা বলে এ দেশের মানুষকে প্রতারিত করছে।
এখন আর প্রতারিত হতে দেওয়া হবে না।’
সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন চট্টগ্রাম-১২ পটিয়া সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ডা. ফরিদুল আলম। তিনি বলেন, ‘ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পর আজ স্মরণ করছি ১৮ জুলাইয়ের কথা যেদিন পটিয়ার জুলাই যোদ্ধা ২২টি গুলিবিদ্ধ ইমাদসহ অসংখ্য ভাইকে আমি শেভরনে চিকিৎসা দিয়েছি। শহীদদের স্মরণ করে বলতে চাই, যারা বৈষম্যমুক্ত ও চাঁদাবাজ মুক্ত সমাজ চান আপনারা ন্যায়ের প্রতীক দাঁড়িপাল্লায় ভোট দিয়ে সংসদে জামায়াতে ইসলামী তথা ইসলামী আন্দোলনকে বিজয়ী করবেন এটাই প্রত্যাশা।’
সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন গাজী আসলাম, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর অধ্যাপক নূরুল্লাহ, জেলা জামায়াতের তরবিয়ত সম্পাদক ইসমাইল হক্কানী। পটিয়া উপজেলা জামায়াতের আমীর জসিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও কালারপুল থানা আমীর মাস্টার নাসিরের সঞ্চালনায় উক্ত গণমিছিলে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন মাস্টার সেলিম উদ্দীন, একর্ড হোল্ডিংসের চেয়ারম্যান শাহজাহান মহিউদ্দীন, জামায়াত নেতা জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা সেক্রেটারি আনোয়ার হোসেন, পৌরসভা সেক্রেটারি রাশেদুল ইসলাম, পটিয়া উপজেলা শিবির সভাপতি মাহবুব উল্লাহ, পটিয়া পশ্চিম সভাপতি মুহাম্মদ জিহান, পটিয়া কলেজ সভাপতি গাজী আবুল হাসনাত জুবায়ের প্রমুখ।
পিএ/এসএন