দুর্নীতি দমন কমিশন একটি রাজনৈতিক হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সাংবাদিক মঞ্জুরুল আলম পান্না।
দুদকের মামলায় রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর গ্রেপ্তারের ঘটনায় সমালোচনা করে নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এক ভিডিওতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মঞ্জুরুল আলম বলেন, ‘ড. কলিমউল্লাহ ক্রমাগতভাবে বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন। এ কারণে কি তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সেটি একটি প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে ড. কলিমউল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দেশের মানুষ মনে করছেন। ড. কলিমউল্লাহ আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ের দিকেও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অপকর্মের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। সেসময় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যারা কথা বলেছেন, তিনি তাদের মধ্যে একজন।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুদকের ক্ষমতা অসীম। সেই ক্ষমতা কি দুদক সবার বিরুদ্ধে সমান হারে করে? কারো কারো বিরুদ্ধে মামলা করলেও অ্যাকশন কি সমান হয়? নিশ্চিই না। আমরা জানি, দুদক একটি রাজনৈতিক হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে, তখন বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের নাজেহাল করার জন্য দুদককে সরকার ব্যবহার করে থাকে। এই ধরনের অভিযোগ বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধেও রয়েছে।’
পান্না বলেন, ‘বর্তমান সরকার নিরপেক্ষ থাকার কথা। কিন্তু তারা সেটি থাকতে পারছে না। বর্তমান সরকার যে একটা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হিসেবে কাজ করছে, সেটি টিআইবিও বলেছে।’
কেএন/টিকে